

কাগজে কলমে ক্যারিবিয়ানদের বিশ্বকাপ স্বপ্নটা টিকে ছিল গতকাল (২৭জুন) পর্যন্ত কিন্তু ভারতের বিপক্ষে হেরে তৃতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ক্যারিবিয়ান ক্যারিবিয়ানরা। আর ওই ম্যাচেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মাঠেই ক্ষোভ ঝেড়ে শাস্তির মুখে পড়লেন দলটির অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।
আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে একাই প্রায় জিতিয়ে ফেলছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তার ১০১ রানের অসাধারণ ওই ইনিংসটি ম্যাচ হারের পরেও প্রশংসা কুড়িয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। রথী-মহারথীরা প্রশংসায় ভাসিয়ে বাহবা দিয়েছেন ব্র্যাথওয়েটকে। তবে এক ম্যাচ পরই দলের নাজুক হারের দিনে শাস্তি পান ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
ঘটনার সুত্রপাত গতকাল (২৭জুন) ম্যানচেস্টারে ভারতকে ২৬৮ রানে আটকানো ইনিংসের ৪২ তম ওভারে। স্ট্রাইকে থাকা ভারত ব্যাটসম্যান হার্দিক পান্ডিয়াকে ওভারের শেষ বলে লেগ-মিডল স্টাম্পের মাঝামাঝিতে স্লোয়ার বাউন্স দেন। যা পান্ডিয়া লেগ সাইডে খেলার চেষ্টা করলেও ব্যাটে বলে সংযোগ করাতে পারেননি। আর আম্পায়ার বলটি দেন ওয়াইড, কিন্তু সিদ্ধান্ত মনঃপুত হয়নি ব্র্যাথওয়েটের।
মাঠেই রাগ ঝাড়েন ব্র্যাথওয়েট, যা অনফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবোরাহ, রিচার্ড ইলিংওর্থ, তৃতীয় আম্পায়ার মাইকেল গাফ ও চতুর্থ ম্যাচ অফিসিয়াল আলিম দার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন ম্যাচ রেফারিকে। নিয়ম অনুসারে আইসিসি কোড অব কনডাক্টের লেভেল এক ভঙ্গ করেন ব্র্যাথওয়েট।
ফলে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা ও নামের পাশে এক ডিমেরিট যোগ হয়। ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ ব্র্যাথওয়েট ম্যাচ রেফারি ক্রিস বর্ডের দেওয়া শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোন শুনানির প্রয়োজন হয়নি। এর আগে ইংল্যান্ড ম্যাচেও আম্পায়ারের সাথে অসাদাচরণে এক ডিমেরিট ও ম্যাচ ফির সমান ১৫ শতাংশ জরিমানা হয় এই ক্যারিবিয়ানের। ফলে আগামী ২৪ মাসের মধ্যে আর দুটি ডিমেরিট পেলেই অন্তত একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে অথবা তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিষিদ্ধ হবেন ব্র্যাথওয়েট।