

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও খেলে গেছেন সামারসেটের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। এবার প্রথম শ্রেণির জার্সিটিও তুলে রাখলেন মার্কাস এডওয়ার্ড ট্রেসকোথিক। ২৭ মৌসুমের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারে (প্রথম শ্রেণি, লিস্ট-এ ও টি-টোয়েন্টি) রান করেছেন ৪০ হাজারের বেশি।
৪৩ বছর বয়সী সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান ১৯৯৩ সাল থেকে খেলে আসছেন প্রথম শ্রেণি। কাউন্টি দল সামারসেটের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মের ফল হিসেবে ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৭৬ টেস্ট ও ১২৩ টি ওয়ানডে ম্যাচ। ৭৬ টেস্টে ৪৩.৮ গড়ে ১৪ সেঞ্চুরি ও ২৯ সেঞ্চুরিতে রান ৫৮২৫।
১২৩ ওয়ানডেতে ৩৭.৩৭ গড়ে ১২ সেঞ্চুরির সাথে ২১ ফিফটিতে ৪৩৩৫ রান, তিন টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১৬৬ রান। মাঝেমধ্যে বল হাতে ডানহাতি মিডিয়াম পেসে টেস্টে উইকেট নিয়েছেন একটি ও ওয়ানডেতে চারটি। অসাধারণ এই বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পাঁচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষকের ভূমিকাও পালন করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর খেলে গেছেন সামারসেটের হয়ে কাউন্টি, সতীর্থদের মাঝে ট্রেসকো নামে পরিচিত এই ক্রিকেটার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালেন সেটিকেও। বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার আগে ২৭ মৌসুমে রান করেছেন ৪০, ৮২৬ রান। ৯৬ সেঞ্চুরির সাথে ফিফটি ২০৭ টি, ক্যাচ নিয়েছেন ৭৩৮ টি, উইকেট সংখ্যা ৯৩!
27 seasons
40,826 runs
96 centuries
207 half-centuries
738 catches
93 wickets
∞ countless memoriesIt’s been a remarkable playing career, @Trescricket. Thank you ???? pic.twitter.com/977Yf6hjbO
— County Championship (@CountyChamp) June 27, 2019
৪৩ বছর বয়সী এই বামহাতি ব্যাটসম্যানই ইংলিশদের হয়ে দ্রুততম সময়ে ৫ হাজারী টেস্ট ক্লাবে ঢুকেন। ২০০৫ সালে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে আসে তার এই মাইলফলক। ওই সিরিজে ধারাবাহিক থাকলেও ছিলনা কোন সেঞ্চুরি, তবে সেবার অ্যাশেজ জয়ের পরই জিতেন সতীর্থদের নিয়ে এমবিই পুরষ্কার।
নিয়মিত অধিনায়কের চোটে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুটি টেস্ট ও ১০ টি ওয়ানডেতে। ২০০৬ সালে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ট্রেসকোথিক ঐবছরই ভারতের ইংল্যান্ড সফরে চোটে পড়েন। যুদ্ধ করেও ফিরতে না পেরে ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তবে পরবর্তীতে খেলেছেন ঘরোয়া লিগে, এখন থেকে সেটিও অতীত।