

অভিযোগটা বেশ পুরনো, তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে পৌছাল আইসিসির দপ্তরে। কিছু ধারাভাষ্যকার মাঠের ম্যাড়মেড়ে ম্যাচকেও যখন আকর্ষণীয় করে দর্শকদের কাছে পৌছে দেয়, সেই সময়ে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের একঘেয়েমি আর পক্ষপাতদুষ্ট ভারাভাষ্য সমালোচনায় বিদ্ধ। চলতি বিশ্বকাপে তাকে ‘অপেশাদার’ আখ্যায়িত করে অস্ট্রেলীয় এক নাগরিক আইসিসির কাছে বিচার দিলেন।
মাঠে লড়ছে দু’দল, কিন্তু ধারাভাষ্যকার সারাক্ষণ নিজ দেশের গুণকীর্তন নিয়ে ব্যস্ত। এই অবস্থায় নিশ্চয় বিপক্ষ দলের দর্শকদের কাছে ভাল লাগার নয়। বিশেষকরে ভারতীয় দল যখন মাঠে থাকে তখন মাইক্রোফোনে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের এসেই দেশে প্রেমের বুলি ফুটাতে থাকেন। সারাক্ষণ ভারতীয় দলের গুণগান চলতে থাকে। তাঁর এই পক্ষপাতমূলক ধারাবর্ণনায় বেজায় চটেছেন এক অস্ট্রেলীয় নাগরিক। তাই সরাসরি চিঠি পাঠিয়েছেন দুবাইয়ে অবস্থিত আইসিসির সদর দপ্তরে।
চিঠিতে অস্ট্রেলীয় নাগরিক আদি কুমার বলেছেন, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার যেটা করেন সেটা অপেশাদার ও অদক্ষের পরিচয়। উপভোগের সময় তাঁর কথা আরো বেশি বিরক্তিকর মনে হয়। সে নিজেই যেন নিজ দেশের মুখপাত্র, চাটুকার। যেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, তাই তাঁর উচিৎ নিজ মুখ বন্ধ রাখা।
দুবাইয়ে পাঠানো চিঠির একটা ছবি তুলে আদি টুইটও সেটা পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের ধারাভাষ্য শুনে আমি আতি মাত্রায় বিরক্ত। তাই নালিশ রাখছি আইসিসির কাছে ।’
চিঠিতে আদি বলেন, ‘ আইসিসি, আমি আদি এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সিডনি থেকে। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে আমার কিছু অভিযোগ আছে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের ধারাভাষ্য নিয়ে। সে বিশ্বকাপের ধারাভাষ্য প্যানেলের অন্যতম সদস্য কিন্তু তাঁর ধারাভাষ্য শুলনে আমার তাকে নিরেপক্ষ মনে হয় না। বরং তাকে চরম অপেশাদার ও পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়। তাকে ছাড়া যদি বিশ্বকপ আয়োজন সমম্ভব হলে, সেটা ব্যবস্থা করা উচিৎ।
আদি’র এই অভিযোগ আইসিসি আমলে নেয় কি না, সেটা সময় বলে দিবে। আর সেটা হলে অনেকেই খুশি হবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।