
চলতি বিশ্বকাপে সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। মাঠের লড়াইয়ে টাইগাররা আধিপত্য বিস্তার করলেও অসংলগ্ন কথায় বেশ আলোচনায় ছিল আফগান ক্রিকেটাররাও। দু দলের আবার দেখা হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের পরই, যেখানে একটি টেস্ট খেলার পর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বসবে টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজ।
মূলত আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে একটি টেস্ট ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের আগ্রহের ভিত্তিতেই এসেছে সূচীতে পরিবর্তন। দুটি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি নয় তারা খেলবে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে একটি আলাদা টি-টোয়েন্টি সিরিজই।
টুর্নামেন্ট হবে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে, প্রতিটি দল প্রত্যেকের বিপক্ষে খেলবে দুটি করে ম্যাচ। সেরা দুটি দল খেলবে ফাইনাল। ২৩ সেপ্টেম্বর ফাইনাল উল্লেখ করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ইতোমধ্যে তাদের খেলার সূচী প্রকাশ করলেও উল্লেখ ছিলনা সিরিজ শুরুর তারিখ। সিরিজে পূর্নাঙ্গ সূচীও দেয়নি আফগান ক্রিকেট বোর্ড। ফলে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের খেলাগুলোর সূচী পেতে করতে হবে আরও অপেক্ষা।
আফগান বোর্ডের প্রকাশিত সূচী অনুযায়ী সিরিজে তাদের ম্যাচগুলো হল ১৫ ও ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে, ১৪ ও ২০ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আফগান ক্রিকেট বোর্ড সিরিজটি সম্পর্কিত এসব তথ্য নিজেদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছিলো গতকাল (২৬জুন)। যদিও সূচীতে উল্লেখ করা হয়নি ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে বাংলাদেশে বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং ত্রিদেশীয় সিরিজের ভেন্যু ও দিনক্ষণও।
ওয়ানডেতে নিজেদের বিশ্বদরবারে প্রমাণ করলেও টেস্ট, টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের উন্নতি হচ্ছে ধীরেলয়ে। টি-টোয়েন্টি তে অবস্থাটা আরও নাজুক, র্যাংকিংয়ে আফগানরা ৭ এ থাকলেও টাইগাররা আছে ১০ এ। এমনকি দু দলের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানেও পিছিয়ে বাংলাদেশ, চারবারের দেখায় তিনবারই হেরেছে বাংলাদেশ। সবশেষ তিনটি ম্যাচ আবার গতবছর ভারতের দেহরাদুনে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়ে।
প্রসঙ্গত অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান সরাসরি সুপার ১২ খেললেও ২০১৬ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মত বাংলাদেশকে এবারও খেলতে হবে বাছাই পর্ব উতরে আসাদের সাথে প্রথমপর্ব। ফলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানরা ফেভারিট হয়েই মাঠে নামবে।