সেমিতে যাবার আশা বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান

Vinkmag ad

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়ে সেমিতে নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার পথটা তৈরি করে রাখলো পাকিস্তান। ৭ ম্যাচ শেষে ৭ পয়েন্ট এখন পাকিস্তানের। বাকি থাকা দুই ম্যাচের দুটিতেই, এমনকি একটিতে জিতেও পাকিস্তান যেতে পারে শেষ চারে। একই রকম সুযোগ আছে বাংলাদেশ দলেরও।

291275

বার্মিংহামের এজবাস্টনে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। মার্টিন গাপটিল অবশ্য অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণে ব্যর্থ হন। চার মেরে শুরু করা গাপটিল ব্যক্তিগত ৫ রানে ফেরেন মোহাম্মদ আমিরের করা প্রথম বলে।

৭ম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন ১২ রান করা কলিন মুনরো। সেখানেই থেমে থাকেননি সদ্যই কৈশর পার করা আফ্রিদি। কিউইদের দলীয় ৩৮ ও ৪৬ রানের মাথায় ফেরান যথাক্রমে রস টেইলর (৩) ও টম লাথামকে (১)। কেন উইলিয়ামসন দারুণ খেলতে থাকলেও শাদাব খানের স্পিনে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪১ রানের মাথায়।

৮৩ রানে ৫ উইকেট হারানো কিউইদের উদ্ধার করেন জিমি নিশাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। দুজন মিলে গড়েন ১৩২ রানের জুটি। ৭১ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৬৪ রান করে গ্র্যান্ডহোম আউট হলেও ১১২ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন জিমি নিশাম। ৬ মেরে ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান নিশাম। ৬ উইকেটে ২৩৭ রান নিয়ে শেষ করে কিউইরা।

291302

২২৬ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তান শুরুতেই ধাক্কা খায়। ৩য় ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন ৯ রান করা ফখর জামান। অপর ওপেনার ইমাম উল হক ফেরেন একাদশ ওভারের ২য় বলে, তিনে নামা বাবর আজমের সাথে ২৫ রানের জুটি গড়ে। বাবর আজম তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজের (৩২) সঙ্গে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। তাতে জয়ের কক্ষপথেই ছিলো পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করতে বাকি কাজটা বাবর আজমের সাথে মিলে করেন হারিস সোহেল। ১০০ ছাড়ানো জুটিতে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন এই দুজন। ফিফটি পূর্ণ করে ৬৮ রান করে রান আউট হন হারিস সোহেল। তবে আগেই ৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরির মালিক থাকা বাবর তুলে নেন নিজের ১০ ওয়ানডে ও বিশ্বকাপে নিজের ১ম শতক। ১৯৮৭ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কোন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করলো।

D AeI85XkAYYuFl

শতক করার পথে রেকর্ড গড়েন বাবর আজম। মাত্র ৬৮ ইনিংসে ৩০০০ ওয়ানডে রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাবর। ৩০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করাতে বাবর আজম দ্বিতীয় দ্রুততম। ৫৭ ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করে দ্রুততম হাশিম আমলা।

৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। ১২৭ বলে ১১ চারে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন বাবর আজম। উইনিং শটে চার মেরে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।

Shihab Ahsan Khan

Shihab Ahsan Khan, Editorial Writer- Cricket97

Read Previous

অবসরের সিদ্ধান্ত আবারও পরিবর্তন করলেন গেইল

Read Next

আনন্দবাজারের বিশ্বকাপের সেরা একাদশে ‘২’ বাংলাদেশী

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Total
0
Share