


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা দুর্দান্তভাবেই করেছে এবারের অন্যতম শিরোপা প্রত্যাশী দল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে ৯৬ রানের বড় ব্যবধানে। আফ্রিকান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাসিম আমলার শতরানে ভর করে লঙ্কানদের সামনে ৩০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ২০৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা।
কেনিংটন ওভালে টস জিতে এদিন ফিল্ডিং বেছে নেন নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বদলে দায়িত্ব পাওয়া দলপতি উপল থারাঙ্গা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে নামা হাসিম আমলা ঠিক এ ম্যাচকেই বেছে নেন রেকর্ড গড়ার জন্য। এর আগে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে (১৬২ ইনিংস) ২৫টি শতক তুলে নেয়ার রেকর্ড ছিল শুধুই ভিরাট কোহলির।

কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে আমলা কোহলির রেকর্ড ভেঙ্গে মাত্র ১৫১ ইনিংসেই গড়ে বসেন ২৫তম শতক। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় ডি কক ফিরে গেলেও ওয়ান ডাউনে নামা ফাফ ডু প্লেসিসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৪৫ রান তোলেন হাসিম আমলা। ডু প্লেসিস ৭০ বলে ৬ চারে ৭৫ রান করে ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ১১২ বলে ২ ছয় আর ৫ চারে আমলা ঠিকই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৫তম শতক।
শেষদিকে জেপি ডুমিনির ঝড়ো ৩৮ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ২৯৯ রানে। নুয়ান প্রদীপ লঙ্কানদের পক্ষে তুলে নেন সর্বোচ্চ দুই উইকেট।
৩০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা লঙ্কানদের শুরুটা লড়াকু হলেও মাঝের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হেরে যেতে হয় প্রায় নয় ওভার আগেই। অধিনায়ক উপল থারাঙ্গা আর উইকেটরক্ষক ডিকওয়ালা উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান যোগ করলেও এ দুজনের বিদায়ের পর ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ২০৩ রানেই থামে লঙ্কানদের স্কোরকার্ড।

সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে কাপ্তান উপল থারাঙ্গার ব্যাট থেকেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল মেন্ডিস। দক্ষিণ আফ্রিকান লেগ স্পিনার ইমরান তাহির মাত্র ২৭ রান খরচায় চার উইকেট তুলে নিয়ে ৪১.৩ ওভারেই শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ম্যাচে শতক পেলেও ইমরান তাহিরের কাছে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের লড়াইয়ে হেরে যান হাসিম আমলা। লঙ্কানদের ভূপাতিত করে দেয়া অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন ইমরান তাহিরই।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ২৯৯/৬ (৫০ ওভার) হাসিম আমলা ১০৩, ফাফ ডু প্লেসিস ৭৫, জেপি ডুমিনি ৩৮*, কুইন্টন ডি কক ২৩, ক্রিস মরিস ২০। নুয়ান প্রদীপ ২/৫৪
শ্রীলংকাঃ ২০৩/১০ (৪১.৩ ওভার) উপল থারাঙ্গা ৫৭, কুশল মেন্ডিস ৪৪*, নিরোশান ডিকওয়ালা ৪১। ইমরান তাহির ৪/২৭, ক্রিস মরিস ২/৩২
ফলাফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৬ রানে জয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা)।