

সেমিফাইনালে উঠার জন্য দু’দলের বাঁচা–মরার ম্যাচ ছিলো এটি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৯ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা জীবিত রাখলো পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে পাকিস্তানের দেয়া ৩০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় আফ্রিকানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ (৬৩) রান করেন ফাফ ডু প্লেসিস।
ম্যাচের আগেই দুই দলের সামনে সমীকরণ স্পষ্ট ছিল। হারলেই বিদায় নিশ্চিত। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে পাকিস্তান। ফিল্ডিং বাজে হলেও ব্যাটিং এবং বোলিং নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৯ রানে জয় পেয়েছে হারিস সোহেল ও মোহাম্মদ আমিররা।
এই জয়ে ৬ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার ক্ষীণ স্বপ্ন টিকিয়ে রাখল পাকিস্তান।
নিজেদের পরের তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় এবং দুর্দান্ত খেলে যাওয়া ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের কোনো একটি দল যদি টানা হেরে যায়, তাহলে সেমির ভাগ্য খুলেও যেতে পারে পাকিস্তানের। এর ব্যতিক্রম হলে শেষ চারের আগেই বাড়ি ফিরতে হবে সরফরাজদের।
রোববার ইংল্যান্ডের লর্ডসে সেমিফাইনালে টিকে থাকার লড়াইয়ের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৩০৮ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। দলের হয়ে ৫৯ বলে ৮৯ রান করেন হারিস সোহেল। ৬৯ রান করেন বাবর আজম। ৪৪ রান করে করেন ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে শাদাব খান, ওয়াহাব রিয়াজ ও মোহাম্মদ আমিরের তোপের মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৫৯/৯ রানেই ইনিংস গুটায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এছাড়া ৪৭ রান করেন কুইন্টন ডি কক।