

মাঠে আক্রমণাত্মক আচরণের জন্য বর্তমান সময়ে ভিরাট কোহলির প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ হতে পারে বলে মনে হয়না। তবে তার এমন আচরণের পুরোটাই দলের স্বার্থে। দলের জন্য মাঠে নিজেকে নিংড়ে দেন রানমেশিন খ্যাত ভারতীয় কাপ্তান। গতকাল (২২ জুন) সাউদাম্পটনে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১ রানে জয়ী ম্যাচে আম্পায়ারের সাথে অসাদাচরণের দায়ে শাস্তি পেলেন কোহলি।

ম্যাচে একটি লেগ বিফোরের আবেদনের প্রেক্ষিতে অনফিল্ড আম্পায়ার আলিম দারের সাথে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েই এ শাস্তির মুখে পড়েন ভারতীয় দলপতি। শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি নামের সাথে যুক্ত হয় এক ডিমেরিট পয়েন্ট, যা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তার দ্বিতীয় ডিমেরিট পয়েন্ট।
সাউদাম্পটনে গতকাল (২২ জুন) আইসিসি আচরণবিধি ‘লেভেল এক’ ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হন ভিরাট কোহলি। একই বিধির অনুচ্ছেদ ২.১ মোতাবেক অপরাধী খেলোয়াড় এবং তাকে সমর্থন দেওয়া খেলোয়াড় সম্পর্কিত আইন ভঙ্গের কারণেও অভিযুক্ত হয়েছেন সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যান। যা আন্তর্জাতিক ম্যাচে অতিরিক্ত অহেতুক আবেদনের অপরাধ ছিল।
ভারতীয় দলপতি নিজে থেকে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের কাছে দোষ দ্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোন শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ডিমেরিট আইন প্রবর্তিত হওয়ার পর ড্যাশিং এই ব্যাটসম্যানের এটি দ্বিতীয় ডিমেরিট পয়েন্ট। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রিটোরিয়া টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয় কোহলির নামের পাশে।
নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট ২৪ মাসের মধ্যে চার ডিমেরিট পাওয়া খেলোয়াড় নিষিদ্ধ থাকবেন দলের পরবর্তী ম্যাচে, সেক্ষেত্রে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি হলে দুই ম্যাচ ও টেস্টের ক্ষেত্রে এক ম্যাচ খেলতে পারবেননা সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়।
প্রসঙ্গত, এলবিডব্লিউ আবেদন করে শাস্তি পেলেও কাল (২২ জুন) বিশ্বকাপে ভারতের ৫০ তম জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে পথ দেখান ভিরাটই। বাকীদের আসা যাওয়ার মিছিলের ভীড়ে তার ৬৩ বলে ৬৭ রানে ভর করেই ২২৪ রানের লড়াই করার পুঁজি পায় ভারত। পরে এ রানেই কোহলির দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব আর ভারতীয় বোলারদের অসাধারন বোলিংয়ে ১১ রানের জয় তুলে নেয় ভারত।