

ভালো করলে তালি , খারাপ করলে গালি এ যেন জগতের নিয়ম। আর সেটির জ্বলন্ত উদাহরণ আফগান লেগ স্পিনার রাশিদ খান। বর্তমান সময়ে লেগ স্পিনারের নাম নিলেই আসবে তার নাম। অথচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বেধড়ক মার খেয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলার হিসেবে নাম লেখানোর পরই চারদিকে সমালোচনা। রাশিদ বলছেন এসবে বিচলিত নন তিনি, মানুষের স্বভাবই এটা অনেকগুলো ভালো দিন দ্রুতই ভুলে যায় খারাপটি মনে রাখে।

অভিষেকের পর থেকেই রেখে আসছেন প্রতিভার সাক্ষর। দিনে দিনে হয়ে উঠেছেন সেরাদের সেরা লেগি। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে দলগুলোর অন্যতম চাহিদার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। ২০ বছর বয়সী এই আফগান ইতোমধ্যে খেলেও ফেলেছেন বিশ্বের প্রায় সব নামি-দামি টুর্নামেন্টে। মিচেল স্ট্রার্কের ৫২ ম্যাচে দ্রুততম ১০০ ওয়ানডে উইকেটের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন ৪৪ ম্যাচেই।
আফগানিস্তানের মত যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশ থেকে উঠে এসেও অসাধারণ পারফর্ম দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বের রথী-মহারথীদের। সমর্থকরাও দিয়েছেন বাহবা, অথচ খারাপ সময় আসতেই বোল পাল্টিয়ে ফেলেছে চারপাশের লোকজন। চলতি বিশ্বকাপে চার ম্যাচে মাত্র তিন উইকেট, আর শেষ ম্যাচে রান দিয়েছেন ৯ ওভারেই ১১০, ছিলেন উইকেট শূন্য।
ওই ম্যাচের পরই চারদিকে সমালোচনা আর বিদ্রুপ হওয়া নিয়ে রাশিদ বলছেন তিনি একদমই ভাবছেন না, “ ওই ম্যাচ নিয়ে আমি খুব একটা ভাবছিনা। মানুষ আপনার ভালো দশটি দিন দ্রুত ভুলে যাবে, একটি খারাপ দিন তারা ভালোভাবে মনে রাখবে। চিন্তা করবেনা বাকী দশদিন রাশিদ খান কি করেছে।”
বিশ্বকাপে দল জিতেনি একটি ম্যাচও, তিনিও আছেন পাদপ্রদীপের আড়ালে। এমন বিবর্ণ রাশিদকে দেখা যায় নি এর আগে। গুঞ্জন উঠেছে নতুন অধিনায়কের সাথে সম্পর্কটা খারাপ যাচ্ছে রাশিদের। রাশিদ বলছেন পুরোটাই মিথ্যা, আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুতই চেনারুপে ফেরার।
এ প্রসঙ্গে আফগান এই লেগি বলেন, “ আমি গুলবাদিনের জন্য খেলি নাকি আফগানিস্তানের জন্য? আফগানিস্তানের জন্য খেলি। আমাদের সম্পর্কে কোন সমস্যা নাই। আসগর আফগানকে যতটা সমর্থন করতাম তাকেও সেভাবেই করি। বরং আসগরকে ৫০ ভাগ সমর্থন দিলে গুলবাদিনকে ১০০ ভাগ দিচ্ছি। আর গতম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নিজেকে তৈরি করছি। সমস্যাগুলো খুব বড় করে না দেখে সমাধানের চেষ্টা করছি।”