

সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি ও লিটন কুমার দাসের ফিফটির সঙ্গে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের যোগ্য দুইটি ইনিংসে সহজ জয়ই পেয়েছে টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩২১ রানের সংগ্রহটা মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৫১ বল হাতে রেখেই টপকে ফেলেছে বাংলাদেশ। ৩২২ রান তাড়া করে জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। কীভাবে সম্ভব হয়েছে রানের পাহাড় টপকানো, ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪ ব্যাটিংয়ের এই পরিসংখ্যান যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই স্বপ্নের। অথচ কি সাবলিলভাবেই না এই স্কোরগুলো গড়ে ফেললেন সাকিব! এবারের বিশ্বকাপে দেখা মিলেছে অনেক অদেখার। সমীকরণ পাল্টে দেওয়া, আর ব্যক্তিগত অর্জনের মাইলফলক মিলিয়ে ভিন্ন ধরনের এক বিশ্বকাপ। সাকিব আল হাসানের জন্য এবারের বিশ্বকাপটা এরইমধ্যে চিরস্মরণীয় হয়ে গেছে।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে ৬ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া সাকিব ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে বললেন,
‘দারুণ লাগছে। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকাটাই বেশি তৃপ্তিদায়ক। আমি ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছি এবং তার ফলও পাচ্ছি।’

ম্যাচ শেষে কাল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বললেন,
‘তামিমের সঙ্গে যখন ব্যাটিং করছিলাম, আমিই দুবার ওকে বলেছি, ‘আমরাই ম্যাচ শেষ করে দিতে পারি। আমরা খেলে যেতে পারলে ৫-৬ ওভার আগেই শেষ করে দিতে পারি।’ আমরা জানতাম যে যথেষ্ট বাজে বল পাচ্ছি চার মারার জন্য। তাই নিজেদের মধ্যে অনেকবারই এই কথা হয়েছে যে আমরাই শেষ করে যেতে পারি।’
‘প্রথম ইনিংসের পর আমাদের কারও মনে হয়নি লক্ষ্যটা কঠিন। সবাই খুব স্বাভাবিক আর নির্ভার ছিল। এটা আমাদের ড্রেসিংরুমে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। বিশ্বাস জন্মেছে যে আমরা ওই রান তাড়া করতে পারব। দুই ওপেনার যেভাবে শুরু করেছিল, সবাই ভালো অনুভব করেছি ও আর নির্ভার থেকেছি।’
‘কখনো মনে হয়নি, আমরা চাপ নিয়ে ব্যাটিং করেছি। বড় শট খেলতে হবে যখন ঠিকভাবেই খেলেছি। কোচিং স্টাফের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। আগে আমরা ঘাবড়ে যেতাম ড্রেসিংরুমে। এখন কোচিং স্টাফরা অনেক শান্ত থাকে, ভড়কে পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যখন শুনি কেউ রেডিওতে ধারাভাষ্য শুনছে, গল্প করছে, কোনো পর্যায়ে মনে হয় না ওরা টেনশন নিচ্ছে। প্যানিক হচ্ছে ছোঁয়াচে, একজন করলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে সবার মধ্যে। কোচিং স্টাফ এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে, বড় রান তাড়া করা এটাও একটা কারণ।’