‘আমরা মনেহয় মাশরাফির সমালোচনা খুব দ্রুতই করে ফেলছি’

received 673322749759694
Vinkmag ad

২০১৫ সাল থেকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, ইকোনমিও প্রশংসনীয়। সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজেও দুই ম্যাচে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের লাগাম টেনে দল জেতানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। অথচ বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে তুলনামূলক খারাপ করাতেই উঠছে নানা প্রশ্ন। টাইগারদের বোলিং কোচ বলছেন অতি দ্রুতই মাশরাফিকে নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা, মাশরাফির নিবেদনেরও করেছেন প্রশংসা।

FB IMG 1560530928766

২০০১ সালে অভিষেকের পর থেকে বছরের পর বছর দেশসেরা পেসার হিসেবেই ছিলেন। মুস্তাফিজের জাতীয় দলে আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত বিনা দ্বিধায় দেশের সেরা বোলার হিসেবে ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক মাশরাফির নামই বলা হত। পরিসংখ্যান বলছে দুর্দান্ত পারফর্ম করা মুস্তাফিজের অভিষেকের পরও উইকেট সংখ্যা আর ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় মুস্তাফিজের যোগ্য সঙ্গী নড়াইল এক্সপ্রেসই।

বার বার চোটে পড়ে ফিরে এসেছেন, দেশের জন্য বল হাতে নেমেছেন ইনজুরিকে দূরে সরিয়ে। বড়সড় ৭ বার অস্ত্রোপচারের পরেও লাল-সবুজের জার্সিতে নিজের সেরাটা দিতেই ছিলেন মুখিয়ে। আর অধিনায়ক হিসেবে তো দেশের ক্রিকেটের চেহারাই বদলে দিলেন। অথচ মাত্র দু-তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়েই বিবেচনা করা হচ্ছে মাশরাফিকে। অধিনায়ক হওয়ার পরেও অনেকেই তাকে একাদশের বাইরে দেখতে চাচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে মাশরাফি পাশে পাচ্ছেন গুরু কোর্টনি ওয়ালশকে। চারদিকে যখন বাংলাদেশ দলপতিকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়, ঢাল হিসেবে সামনে দাঁড়ালেন ক্যারিবিয়ান এই কিংবদন্তি। মাশরাফিকে প্রশংসায় ভাসানোর পাশাপাশি খুব দ্রুতই তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে বলেও মত সাবেক এই গতি তারকার।

A13T7506
ফাইল ছবি

এ প্রসঙ্গে কোর্টনি ওয়ালশ বলেন, ‘মাশরাফি লড়াকু এটা আমরা সবাই জানি। তার কিছু চোট সমস্যা আছে। অধিনায়ক হিসেবে সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, ভালো স্পেলও করছে। এই পর্যন্ত তাকে আমরা ভালো অবস্থানেই দেখছি। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তার নিবেদন নিয়ে বলার কিছু নেই। আমার মনেহয় তার সমালোচনা খুব দ্রুতই করে ফেলছি।’

প্রসঙ্গত, চলমান ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৬ ওভারে ৪৯, পরের ম্যাচে নিউজিল্যন্ডের বিপক্ষে ৫ ওভারে ৩২ রান খরচায় মাশরাফি ছিলেন উইকেট শূন্য। এরপর নিজেকে আর ওই দুই ম্যাচে বোলিংয়েই আনেননি মাশরাফি। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুরো ১০ ওভারের কোটা শেষ করা মাশরাফি ছিলেন বাকীদের চেয়ে উজ্জ্বল, ৬৮ উইকেট খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট। শেষ ওভারে ১৮ রান না দিলে ফিগারটা থাকতো আরও ভদ্রস্থ।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ম্যাচে হারলো পাকিস্তান

Read Next

বাংলাদেশের র‍্যাংকিং নিয়ে গড়মিল; ক্রিকইনফো বলে ৭, আইসিসি ৮!

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Total
0
Share