

ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে দেশে ফেরার পর নাসির হোসেনের পারফরম্যান্সের চমক যেন থামছেই না! চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) গত দুই ম্যাচের পর আজকেও ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই রেখেছেন অবদান। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই শিরোপা প্রত্যাশী আবাহনীকে ছয় উইকেটে হারায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সুপার লিগের ম্যাচে টসে জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় গাজীর অধিনায়ক নাসির। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৫৬ রানেই অলআউট হয় মোহাম্মদ মিঠুনের দল। আবাহনীর দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ১০, অধিনায়ক মিঠুন ২৮, দারুণ ফর্মে থাকা লিটন কুমার দাস ৩০, আফিফ হোসেন ৩২, শুভাগত হোম ২৩ রান করেন। গাজীর হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদি হাসান ও নাসির হোসেন। দুটি উইকেট নেন পেসার আবু হায়দার রনি।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গাজীর ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার কোনো রান না করেই বিদায় নেন। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় করেন ৪১ রান। মমিনুল হক ২১, জহুরুল ইসলাম ৭ রান করে আউট হোন। নাদিফ চৌধুরী অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে। ৯২ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ের মারে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন নাসির। তার অপরাজিত ইনিংসে ভর করে চার উইকেট হারিয়েই জয়ের দেখা পায় গাজী। আবাহনীর হয়ে দুটি উইকেট নেন মানান শর্মা।
বল হাতে তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি অপরাজিত অর্ধশতকের স্বীকৃতি স্বরূপ আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান নাসির হোসেন। গত ম্যাচে কাপ্তান নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রাইম ব্যাংককে পাঁচ উইকেটে হারায় গাজী। তার আগের ম্যাচে শেখ জামালের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে দলের জয়ের পেছনে ভূমিকা রাখেন। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে ম্যাচসেরা হওয়ার কৃতিত্ব দেখান এই অলরাউন্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আবাহনী লিমিটেড ১৫৬/১০ (৪১.১) আফিফ ৩২, লিটন দাস ৩০
মেহেদি ৩/৩০, নাসির ৩/৩৬
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১৫৭/৪ (৩৬.৪) এনামুল ৪১, নাসির ৫৬*
মানান শর্মা ২/৪০
ফলঃ গাজী গ্রপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ নাসির হোসেন