


ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটি ম্যাচ। তারই একটিতে বিকেএসপির চার নাম্বার মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি এবং প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কাপ্তান মেহেদী মারুফের অনবদ্য শতকে প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৫ উইকেটে।
টস জিতে এদিন সকালে শেখ জামাল অধিনায়ক আসিফ আহমেদ বেছে নেন ব্যাটিং। আল আমিন হোসেন এবং তার সাথে অন্যান্য বোলাররা শেখ জামালের উপর চড়াও হলে ১০০ রানের মধ্যেই ক্লাবটি হারিয়ে বসে পাঁচ উইকেট। লোয়ার অর্ডারে লেগ স্পিনার তানভীর হায়দার এবং বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানীর প্রতিরোধে দুশো পার করে শেখ জামাল।
তানভির হায়দার ৮৬ বলে তিন চার হাঁকিয়ে করেন ৫৮ রান। অন্যদিকে ইলিয়াস সানী ৬ চার আর এক ছয়ে ৭০ বলে করেন ৫৭ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে শেখ জামালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৪২ রান। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে আল আমিন হোসেন তিনটি এবং তাইবুর পারভেজ শিকার করেন দুই উইকেট।
২৪৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নামা প্রাইম ব্যাংক শুরুতেই হারিয়ে বসে ওপেনার শাহনাজ আহমেদকে। তবে এরপর দলকে আর কোন বিপর্যয়ে পড়তে না দিয়ে একাই টেনে নিয়ে গেছেন দলপতি মেহেদী মারুফ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উইকেটরক্ষক জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন ১১৫ রানের বড় জুটি। ৪৯ রানে জাকির ফিরে গেলেও নিজের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক তুলে নিয়ে মেহেদী মারুফ গড়েছেন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ লিস্ট ‘এ’ ইনিংসও।
১৪৩ বলে ১০ চার আর ৪ ছয় হাঁকিয়ে ১২৭ রান করা প্রাইম ব্যাংক সেনাপতি যখন সাজঘরে ফেরেন দলের জয়ের জন্য দরকার তখন মাত্র ১০ রান। নির্বিঘ্নে বাকী পথ পার করে ৫ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রাইম ব্যাংক। অনবদ্য শতকের সুবাদের ম্যাচ সেরার পুরষ্কার যায় মেহেদী মারুফের ঘরেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
শেখ জামালঃ ২৪২/৭ (৫০ ওভার) তানভির হায়দার ৫৮, ইলিয়াস সানী ৫৭, রাসেল আল মামুন ৩২, মাহবুবুল করিম ২৭, মেহেদী ইসলাম ২০*। আল আমিন হোসেন ৩/৪৬, তাইবুর পারভেজ ২/৩৯
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবঃ ২৪৩/৫ (৪৮ ওভার) মেহেদী মারুফ ১২৭, জাকির হোসেন ৪৯, রিফাত উল্লাহ ২৪, আসিফ আহমেদ ২৬। মেহেদী ইসলাম ১/১২, রুবাইয়্যাত ১/২৭।
ফলাফলঃ প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ মেহেদী মারুফ (প্রাইম ব্যাংক)।