
দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সের অবসর, বিশ্বকাপের আগে ফেরার ইচ্ছে ইস্যুতে সৃষ্ট বিতর্ক এখন ক্রিকেটপাড়ায় হট কেক। এ বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার, বলছেন টাকার জন্যই ভিলিয়ার্স ক্রিকেট ছেড়েছিলেন।
২০১৮ সালে হঠাৎ করে দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে বসেন। বিশ্বকাপের বছর খানেক আগে তার এমন বিদায় অবাক করেছে ভক্ত সমর্থকদের। সম্প্রতি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের টানা হারের পর ভিলিয়ার্স ইস্যু দিয়েছে মাথাচাড়া।
সমর্থকরা চাইছেন ফিরে আসুক এবি ডি ভিলিয়ার্স, বদলে যাক দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ভিলিয়ার্স জানালেন অভিমানে গিয়েছেন অবসরে, ফিরতে চেয়েছেন বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার আগেই। তবে নীতির জায়গায় দাঁড়িয়ে ভিলিয়ার্সকে ফেরানোর প্রস্তাব এড়িয়ে যায় প্রোটিয়া নির্বাচক প্যানেল।
এ ইস্যুতে এবার নতুন করে আলোচনার জন্ম দিলেন রাওলপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত পাকিস্তানি সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। তার মতে অমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশের ক্রিকেটকে বিপদে ঠেলে ভিলিয়ার্সের অবসরে যাওয়ার মানে কেবলই অর্থ।
এ প্রসঙ্গে শোয়েব বলেন, ‘বিশ্বকাপ কেন্দ্র করে ওর এ সময়টায় ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু আইপিএল ও পিএসএল চুক্তি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে হবে বলে সে ভিন্ন পরিকল্পনা করে। এই দুই টুর্নামেন্ট খেলার জন্য সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর নিয়ে নিলো। আমিতো মনে করি সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দিকটি চিন্তা করেছে।’
মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি যখন অবসরে যান, সামনে তখন দুটো ক্রিকেট বিশ্বকাপ। চলমান ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপ ছাড়াও আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তার কাঁধেই নেতৃত্ব ভার থাকার কথা ছিল।
অর্থের জন্য দেশকে এমন গুরুত্বপূর্ণ দুটো ইভেন্টেও বিপদে ফেলেছেন ইঙ্গিত দিয়ে শোয়েব বলেন, ‘দেখুন ও কখন অবসরে গেছে, যখন ওর সামনে দুটো বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছিল। দলের এমন বাজে পরিস্থিতিতে ওর বেশি প্রয়োজন ছিল। টাকা আজ নাহয় কাল আসবেই। তবে অর্থের জন্য তার বিশ্বকাপ উপেক্ষা করা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনি।’
নৈতিক জায়গায় ঠিক থাকার প্রসঙ্গে এই গতি তারকা টেনে এনেছেন নিজের খেলোয়াড়ি জীবন। কাড়িকাড়ি টাকার আইসিএল প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে আইপিএল খেলেছেন কোলকাতার হয়ে, ‘আইসিএল থেকে আমায় কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমি কিন্তু এর অর্ধেক টাকায় কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছি। কারণ শহর কোলকাতা আমায় অনেক ভালোবাসা দেখিয়েছে। আমি পাকিস্তানের আনুগত্য ছিলাম, যদিও অনেক পাকিস্তানি অবৈধ আইসিএল খেলেছে।’