
দুই দলই পেয়েছে বিশ্বজয়ের স্বাদ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মাথায় মুকুট উঠেছে ৫ বার, ভারতের দুইবার। চলমান ইংল্যান্ড আর ওয়েলস বিশ্বকাপেও শিরোপার বড় দাবিবার ধরা হচ্ছে তাদের। সেই দাবির পক্ষে যুক্তিটা আরও বেশি জোরালো করতে আজ লন্ডনের কেনিংটন ওভালে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত। ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে এক শতক আর দুই অর্ধশতকে অজিদের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে ভিরাট কোহলির দল।
ম্যাচের শুরুতে টস ভাগ্য কথা বলেছে ভারতের হয়ে, ন্যাড়া পিচে আগে ব্যাট করার কথা দ্বিতীয়বার ভাবেবনি ভারতীয় দলপতি। টস হারা অ্যারন ফিঞ্চও জানিয়েছিলেন এমন উইকেটে আগেই ব্যাট করার ইচ্ছে ছিলো তার দলের। ম্যাচে ভারতের হয়ে শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে নিজেদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুজন।
দলীয় ১২৭ রানের মাথায় ভারতীয় শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন কোল্টার নেইল, ফেরান ৫৭ রানে থাকা রোহিতকে। এরপর ভিরাট আর ধাওয়ান মিলে শাসন করতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের, এরই এক ফাঁকে চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা তুলে নেন ধাওয়ান। এরপর অবশ্য বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, আউট হওয়ার আগে ১০৯ বলে ১১৭ রানের ইনিংসটি ধাওয়ান সাজিয়েছেন ১৬টা চারের সাহায্যে।
ধাওয়ান আউট হওয়ার পর উইকেটে শুরু হয় ভিরাট কোহলি আর হার্দিক পান্ডিয়া শো। চার নম্বর পজিশনে ভারতীয় দলের আস্থা অর্জন করা লোকেশ রাহুলকে টপকে কোহলিকে সঙ্গ দিতে পাঠানো হয় পান্ডিয়াকে, তবে সঙ্গ দিতে এসে যেন আলোটাই কড়ে নিলেন এই অলরাউন্ডার। চার-ছয়ের ফুলঝুরিতে একের পর এক বাউন্ডাড়ির বাইরে আছড়ে ফেলেছেন জাম্পা, কামিন্সদের। পরে অবশ্য কামিন্সেরই শিকারে পরিণত হয়েছেন তিনি, তবে যাওয়ার আগে ৪টা চার ও ৩টা ছয়ের মারে ২৭ বলে খেলে গেছেন ৪৮ রানের ইনিংস।
এরপর ধোনিকে নিয়ে দলকে বিশাল রানের দিকে ছুটতে থাকেন ভিরাট, তবে ধোনিও ১৪ বলে ২৭ রান করে আউট হয়ে গেলে রান তোলার গতিটা কমে আসে। শেষ পর্যন্ত কোহলিও আউট হয়ে যান ৮২ রান করে। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩৫২ রানের পুঁজি পায় ভারত।