

ধারাভাষ্য হল আধুনিক ক্রিকেটের প্রাণ। চমৎকার ধারা বিবরণী দর্শকদের খেলার মধ্যে ডুবিয়ে রাখে। তবে নিয়মানুসারে ধারাভাষ্যকারকে হতে হয় নিরপেক্ষ। সম্প্রতি উইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে আম্পায়ার বিতর্ক ইস্যুতে আইসিসি নতুন করে ধারাভাষ্যকারদের সতর্ক করেছে। থাকতে হবে নিরপেক্ষ, করতে হবে আম্পায়ারের প্রশংসা।
যতই নিয়মকানুন থাকুক, দেশের জয়ে উচ্ছ্বাস আর ব্যর্থতায় হতাশার প্রতিফলন ঘটবে ধারাভাষ্যকক্ষে বসেই। বাংলাদেশের দুর্দান্ত সব জয়ে কমেন্ট্রিবক্সে গলা ফাটানো আতহার আলি খানকে যেমন দেখা যায়, তেমনি পরাজয়ে দলের পক্ষে সাফাই গাওয়া আতহারও টাইগার সমর্থকের কাছে পরিচিত মুখ।
এবারের বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং বিতর্ক হচ্ছে নিয়মিতই। বিশেষ করে সবশেষ উইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে বিতর্কের মাত্রা গেছে ছাড়িয়ে। ১৫ রানে হারা ম্যাচে বেশ কবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যায় ক্যারিবিয়ানদের। ম্যাচে পাঁচবার ডিআরএস পদ্ধতি ব্যবহারে সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয় আম্পায়ারের। মিচেল স্টার্কের স্পষ্ট বিশাল নো বল না দেওয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে অহেতুক ওয়াইডসহ ক্যারিবিয়ানরা পড়েছিল বেশ বিপাকে।
ধারাভাষ্যকক্ষে উপস্থিত জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং ধারাভাষ্য দেওয়া অবস্থাতেই করেন সমালোচনা। ৬৫ বছর বয়সী এই ক্যারিবিয়ান পেসার বলেন, ‘আমি এটা বলার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি যে আজকের ম্যাচে অত্যন্ত বাজে আম্পায়ারিং হয়েছে।’

তার এমন মন্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসে আইসিসি। ধারাভাষ্যকারদের মেইল পাঠিয়ে নিরপেক্ষ থাকার ব্যাপারে করেছে সতর্ক। এমনকি তাদের করা ভালো কাজের প্রশংসা করার জন্যও আলাদা করে উল্লেখ করা হয় মেইলে।
এর আগে ম্যাচ শেষে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েটসহ অনেকে খেলোয়াড়ই বাজে আম্পায়ারিং প্রসঙ্গে করেছে প্রকাশ্য সমালোচনা। ব্র্যাথওয়েট বলেন, ‘আমি জানিনা আমার এ মন্তব্যের জন্য শাস্তি হয় কিনা। কিন্তু আমি বলবো ম্যাচে অনেক হতাশাজনক আম্পায়ারিং হয়েছে। এমনকি বোলিংয়ের সময় আমরা যখন বল করছি অনেকগুলো বৈধ বলকেও ওয়াইড দিয়েছে।’