

বাংলাদেশের তিন নম্বর পজিশন নিয়ে যুদ্ধটা কম হয়নি। সম্প্রতি বছরগুলোতে সৌম্য, রিয়াদ, মুশফিক, এমনকি হালের সাব্বির রহমানকে দিয়েও চেষ্টা চালানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ থেমেছে সাকিবকে দিয়ে। তিনে নেমে সাকিব যেন নিজের ব্যাটিং স্বত্বাকে খুঁজে পেয়েছেন নতুনভাবে, পাচ্ছেন দুর্দান্ত সফলতা। তবে স্বীকার করেছেন এ পজিশন নিতে তাকে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি, রাজি করাতে হয়েছে দলের প্রায় সবাইকেই।

দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন সাকিব, তামিমের পর ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানেরই। বাংলাদেশের পোস্টারবয় হয়েও তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করার জন্য তাকে রাজি করাতে হয়েছে দলের অন্যসবাইকে। বিশ্বের সব দলই তাদের সেরা ব্যাটসম্যানকে তিন নম্বরে খেলায়, গড় বিবেচনায় বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসানই।
গত এশিয়া কাপ দিয়ে তিন নম্বর পজিশনে ফিরলেও ছিলেন না নিয়মিত। সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলেছেন তিনে, দারুণ সফল সাকিব বিশ্বমঞ্চেও নিজে থেকেই অন্যদের রাজি করিয়ে তিনে ব্যাট করছেন। ফলটাতো হাতেনাতেই, তিন ম্যাচে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ২৬০ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এখনো পর্যন্ত সবার উপরে।
ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ ম্যাচ ৪ থেকে ৬ নম্বরে ব্যাট করা সাকিবের ক্যারিয়ার গড় ৩৬.৬৭, অথচ বর্তমান পজিশনে (৩ নম্বর) গড় ঈর্ষণীয়, প্রায় ৫৫ এর মত। ১৮ বার ব্যাট করে ফিফটি ৮টি, সেঞ্চুরি একটি। এমন দুর্দান্ত করা সাকিব বলছেন নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে সংগ্রামের কথা।

অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই দলজে রাজি করিয়েছেন উল্লেখ করে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার বলেন, ‘সবাইকে রাজি করিয়ে আমাকে তিনে ব্যাট করতে হচ্ছে। হ্যা সবাইকেই। কারণ একটা ম্যাচ খারাপ করলেই সবাই ভাববে পাঁচেই আমি ঠিক। অনেক লোককে বুঝিয়ে আমাকে তিনে ব্যাট করতে হয়েছে। যেটা এখন খুবই কাজে দিচ্ছে।’
এই মুহুর্তে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, তিনে নেমে রান পাচ্ছেন। সাকিব বলছেন চ্যালেঞ্জিং হলেও উপভোগ করছেন, এখনই তৃপ্তির ঢেকুর না তুলে পাড়ি দিতে চান আরও বড় পথ। দলের সাফল্যে রাখতে চান অবদান, ‘এটা (তিনে নামা) ভিন্ন কিছুতো অবশ্যই। আপনাকে চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে, যেটা আমি এখন উপভোগ করছি। তবে এটাও বলতে হয়, এখন মাত্র শুরু। ব্যাটে-বলে দলের জন্য এখনও আমার অনেক কিছু করার বাকী।’