

ইংল্যান্ড আর ওয়েলসে চলমান বিশ্বকাপটা এখনো পর্যন্ত ভুলে যাওয়া মতই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। একের পর এক হারের সাথে শুরু থেকেই দলে চলছে চোটের মিছিল, সেই মিছিলে এবার নয়া সংযোজন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ভ্যান ডার ডুসেন।

গত ৩০ মে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে প্রোটিয়ারা, সে ম্যাচেই পরাজয় বরণ করতে হয় অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের দলকে। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের সাথে ভারতের বিপক্ষেও থাকতে হয়েছে জয় শূন্য। সবেমিলে সময়টা একেবারেই সুখকর যাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকার।
প্রোটিয়াদের এই হতাশার যাত্রাটা শুরু হয়েছে বিশ্ব মঞ্চের মূল লড়াইয়ে নামার আগেই। বিশ্বকাপে ‘চোকার’ বলে পরিচিত দলটির ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণার পরেই চোটের কারণে ছিটকে যান পেসার অ্যানরিখ নর্টজে, তার পরিবর্তে ভাগ্য খুলেছিলো ক্রিস মরিসের।
ইনজুরি নিয়ে ইংল্যান্ডে এসে নিজদের শুরুর দুই ম্যাচ সাইড বেঞ্চে বসেছিলেন দলের আরেক তারকা পেসার ডেল স্টেইন। সেই চোটেই শেষপর্যন্ত কপাল পুড়েছে তার, তাতে অবশ্য ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়ছে দেশটির আরেক পেসার বিউরেন হেনড্রিক্সের।
এবার আবার চোট আঘাত হেনেছে প্রোটিয়া শিবিরে, যার শিকার হতে হয়েছে দলের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ভ্যান ডার ডুসেনকে। গত বুধবার (৫ মে) ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় আঘাত পান তিনি। কুচকিতে পাওয়া সেই চোটে মাঠ ছাড়া ডুসেন আর ফিরতে পারেননি সেই ম্যাচে।
ডুসেনের ইনজুরি সম্পর্কে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমরা এখনি ডুসেনের বিকল্প ভাবছি না। আগামী শনিবার (৮ মে) ও রবিবার (৯ মে) অনুশীলনের সময়েই বোঝা যাবে তার চোট কতটা গুরুতর। যদি সে খেলার জন্য প্রস্তুত না হন, তাহলে সু্যোগ পাবেন এইডেন মার্করাম।’
প্রসঙ্গত, চলতি বিশ্বকাপে ক্রমাগত হারতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ব্যাট হাতে বেশ ভালোই লড়াই করছিলেন ডুসেন। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০, দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ বিপক্ষে ৪১ ও তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২২ রানের ইনিংস।