

ইংল্যান্ড ইনিংসের বয়স তখন ৩৬ ওভার। ওভারের চতুর্থ বলে মাশরাফি বিন মর্তুজার গুড লেন্থের বল লং অনে বিপক্ষ কাপ্তান ইয়ন মরগানের ক্যাচ বেশ দক্ষতার সাথেই লুফে নেন ম্যাচে শতকের দেখা পাওয়া তামিম ইকবাল। বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই তামিম জানিয়েছিলেন ক্যাচটি ধরেছেন তিনি। অথচ তৃতীয় আম্পায়ার মাত্র দু’বার দেখেই বাতিল করে দেয় ক্যাচটি। এ ঘটনায় অবাক হয়েছে দলের প্রায় সবাইই।
২২ রানে ব্যাট করা মরগানের ক্যাচটি রিভিউ করার জন্য পাঠানো হয় টিভি আম্পায়ার সুন্দরম রবির কাছে। পেছন থেকে একবার আর সামনে থেকে একবার দেখেই সফট সিগন্যালে নট আউট ঘোষণা করেন রবি। যদিও আউটটি নিয়ে সংশয় ছিল অবশ্যই। বিশেষ করে সামনে থেকে দেখে মনে হয়েছে মাটি ছুঁয়ে তামিমের হাতে গিয়েছে বল।
এরপরেও বাংলাদেশ কাপ্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে করেন আরেকটু দেখে শুনে সিদ্ধান্ত দেয়া উচিৎ ছিল। ‘তামিম মোটামুটি নিশ্চিত ছিল ওটা আউট। আম্পায়াররা আরও ভাল দেখেছেন হয়তোবা তবুও মাঠের ফিল্ডারের মতও গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিৎ ছিল। তামিম এখনও বিশ্বাস করে ওটা ক্যাচ হয়েছিল।’
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে মাশরাফি সম্মান জানিয়েই বলেছেন, ‘আরও একটু খুঁটিয়ে দেখা দরকার ছিল। একটু তাড়াতাড়িই হয়ে গেছে সিদ্ধান্তটা হয়তোবা। যেহেতু ফিল্ডার নিজেই বলছিল, তাই আরেকটু দেখেশুনে সিদ্ধান্ত দেয়া যেতো।’
এই মরগানই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রয়ে যান ৭৫ রানে। জো রুটের সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে গড়েন অবিচ্ছেদ্য ১৪৩ রান আর ইংল্যান্ডকে পাইয়ে দেন ৮ উইকেটের বড় জয়। তাই মাশরাফির মতে ঐ ক্যাচটা পাল্টে দিলেও দিতে পারতো ম্যাচের পরিস্থিতি।
‘ওভারে সাত রান করে লাগতো। তখন উইকেটটা পড়লে ওরা চাপে থাকতো, ডট আসতো। তখন ৮-৯ রানের একটা চাপ থাকতো প্রতি ওভারে। আমরা হয়ো ভাল বল করিনি তবে ক্যাচটা হলে অন্যরকম কিছুও হতে পারতো।’