

ব্যাট হাতে অজিদের ভূতুড়ে শুরু, দাপুটে বোলিংয়ে শুরু উইন্ডিজদের। সেটা শেষ হয়েছে স্মিথ বীরত্বে ও কোল্টার নাইলের বিস্ময় মাখানো ইনিংসে। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে অজিরা স্কোরবোর্ডে জমা করেছে বড় সংগ্রহ, দেখিয়েছে ব্যাটিং লাইন আপের গভীরতা।

নটিংহামের ট্রেন্টব্রিজে টসে জিতে আগে অজিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান উইন্ডিজ দলপতি জেসন হোল্ডার। ওশানে থমাস ও শেলডন কটরেলের দাপুটে বোলিংয়ে ফিঞ্চ-ওয়ার্নারদের দিশেহারা করে ছাড়ে উইন্ডিজরা।
তৃতীয় ওভারে অ্যারন ফিঞ্চ (৩), চতুর্থ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার (৬), ৭ম ওভারে উসমান খাজা (১৩) ও ৮ম ওভারে কোন রান না করে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল তখন অজিরা। উইন্ডিজ বোলারদের গতি, বাউন্সে যেনো দিশেহারা অজিরা। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় ফেরেন মার্কাস স্টয়নিসও।
চারে নামা স্টিভ স্মিথ ও সাতে নামা অ্যালেক্স ক্যারি মিলে ৬ষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৬৮ রান। যার সিংহভাগ রানই আসে ক্যারির ব্যাট থেকে। ৫৫ বলে ৪৫ রান করে আন্দ্রে রাসেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অজি উইকেটরক্ষক।

১৫০ এর আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা অজিরা তবুও ৩০০ রানের কাছাকাছি যেতে পারে স্টিভ স্মিথ ও নাথান কোল্টার নাইলের অনবদ্য ৮ম উইকেট জুটিতে। ১০২ রান আসে এই জুটি থেকে। ১০৩ বল খেলে ৭ চারে ৭৩ রান করে আউট হন স্টিভ স্মিথ। বাউন্ডারির কাছ থেকে অনবদ্য এক ক্যাচ নেন শেলডন কটরেল।
ইনিংস ধরে রাখা স্মিথ একটু ধীর গতিতে রান করলেও আগ্রাসী ছিলেন নাথান কোল্টার নাইল। ৮ নম্বরে নেমে খেলেন ৬০ বলে ৯২ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। মারেন ৮ চার, ৪ ছয়। ৪৯ তম ওভারে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের বলে জেসন হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরা কোল্টার নাইল করেন রেকর্ড।

বিশ্বকাপে ৮ বা তার পরে নেমে সবচেয়ে বেশি রানের ইনিংস এখন নাথান কোল্টার নাইলের। এতদিন যে রেকর্ড ছিল জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিকের দখলে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ব্লুমফন্টেইনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হিথ স্ট্রিক। ঐ একই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোল্টার নিলের স্বদেশী অ্যান্ডি বিকেল। ২০১১ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬২ রান করেছিলেন পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাক।
শেষমেশ ৪৯ ওভারে ২৮৮ রানেই অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ২ টি করে উইকেট নেন ওশানে থমাস, শেলডন কটরেল ও আন্দ্রে রাসেল। ১ টি উইকেট নেন জেসন হোল্ডার।