

লন্ডন নাকি মিরপুর? দেখে বুঝে ওঠার উপায় নেই একদম। সুদূর যুক্তরাজ্যেও যেন এক টুকরো লাল-সবুজ। ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত কেনিংটন ওভাল। বিশ্বকাপে টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে নেমে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে বিস্ময় ছুঁয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার রস টেইলরকে। ম্যাচ শেষে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানতো বলেই ফেললেন, কখনো কখনো মনে হচ্ছিলো ঢাকা বা চট্টগ্রামের মাঠে খেলছি।
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অবস্থানটা শক্ত হচ্ছে বেশ, এই যেমন চলমান বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার আগে ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেই বাংলাদেশ দলকে রেখেছেন সেমিফাইনালের দৌড়ে। যার সামর্থ্যের ছাপটা এরই মধ্যে রাখতে শুরু করেছে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটা নিউজিল্যান্ডের কাছে নাটকীয়ভাবে হারলেও যাত্রাটা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মত পরাশক্তিকে হারিয়ে।
মাঠের লড়াইয়ে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের দলের এমন উত্থানের পিছনে যেমনি সাকিব-তামিমদের অবদান, তেমনি কম যায়না গ্যালারির দর্শরাও। মিরপুর হোক বা চট্টগ্রাম, ফ্লোরিডা হোক বা শারজাহ, সবখানেই টাইগার সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। চলমান ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও অব্যাহত আছে এই ধারা। এখন পর্যন্ত টাইগারদের খেলা দুই ম্যাচেই ওভালের গ্যালারি সেজেছে লাল-সবুজের রঙে।
দেশের বাইরে মাশরাফির দলের সমর্থকদের এমন সমর্থন বিস্ময় বাড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার রস টেইলরের। গতকাল (বুধবার) নাটকীয় ম্যাচে বাংলাদেশ বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে গ্যালারিতে বসে থাকা সমর্থকদের জন্য কিউইদের কাজটা সহজ হচ্ছিলো না মোটেও। সেই ম্যাচে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে টেইলরের হাতে।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে দেশের বাইরে বাংলাদেশের এত বিপুলসংখ্যক দর্শক দেখে মুগ্ধ বনে গেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে নিজের বিস্ময় উগড়ে দিয়ে টেইলর বলেন, ‘ম্যাচটি আরও আগে জিততে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত আমাদের। তবে বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা একদমই হাল ছাড়েনি। শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে।’
একই সাথে তিনি যোগ করেন, ‘তাদের (বাংলাদেশ) দর্শকেরা যেভাবে ভূমিকা রেখেছে! যখন আমরা মাঠে ছিলাম, কখনও কখনও মনে হচ্ছিল যেন ঢাকা বা চট্টগ্রামে আছি। এই অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ।’