

বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্বল্প পুঁজি নিয়েও প্রায় জিতে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ। এমন উত্তেজনাপূর্ন ম্যাচের মোড় ঘুরানো টেইলর-উইলিয়ামসন জুটি অঙ্কুরেই ভেঙে দিচ্ছিলেন তামিম, তবে শেষ পর্যন্ত হলো না মুশফিকের অসচেতনতায়। ম্যাচও ফসকে গেল বাংলাদেশের হাত থেকে। তবে ভিলেন না বানিয়ে মুশফিকের পাশে আছেন অধিনায়ক মাশরাফি।
২৪৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় বেশে তেড়েফুঁড়েই ব্যাট করছিল ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। দুজনেই ৫৫ রানের মধ্যে বিদায় নেন সাকিব আল হাসান ঘূর্ণিতে। ক্রিজে আসা নতুন দুই ব্যাটসম্যান রস টেইলর ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জুটিও ভাঙতো দ্রুতই, বাংলাদেশ পেত শক্ত অবস্থান।
১০৫ রান করা দুজনের জুটি শেষ হতো ৬ রানে। দলীয় ৬১ রানের মাথায় লং অন থেকে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প প্রায়ই ভেঙেই দিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল, ততক্ষণে ক্রিজের অনেক বাইরে ৮ রানে ব্যাট করা কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু বিপত্তিটা বাঁধে উইকেটরক্ষক মুশফিক যখন বল স্টাম্পে লাগার আগেই বল ধরে নিজে স্টাম্প ভাঙ্গতে যান, অতি উত্তেজনায় বল গ্লাভসে ঢোকার আগেই মুশফিকের হাতের ছোঁয়ায় পড়ে যায় বেল। ফলে অনেক দূরত্বে থাকা উইলিয়ামসন পান নতুন জীবন, আর টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখায় মুশফিক না ধরলে বল সরাসরি হিট করতো স্টাম্পে।
জীবন পেয়ে দুজন গড়েন ১০৫ রানের জুটি, ৮ রানে নিশ্চিত আউট থেকে বেঁচে উইলিয়ামসন করেন ৪০ রান। রান আউটটা হলে ৬১ রানে নিউজিল্যান্ড হারাতো তিন উইকেট, এমন পরিস্থিতি হয়তো ভড়কে দিতে পারতো কিউই শিবিরকে। শেষের লেজেগোবরে অবস্থা হতে পারতো তখনই। কার্যত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টই হতো ওই রান আউট, সেকারণেই চারদিকে চলছে মুশফিকের সমালোচনা।
মুশফিক পাশে পাচ্ছেন দলের অধিনায়ক মাশরাফিকে, পরম যত্নেই মুশফিককে নিয়ে করা সব প্রশ্ন সামলেছেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক। বলেছেন, ‘এটা খেলার অংশ। কেউ ভুল করতে চায় না। এটা হয়ে যায়।’
উইকেট কিপার হিসেবে বলের গতিবিধি জায়গায় দাঁড়িয়ে ধারণা করা কঠিন উল্লেখ করে ম্যাশ বলেন, ‘আমার মনে হয়না তাকে নিয়ে ভাবনার কিছু আছে। হ্যাঁ, বলটা সোজা এসে স্টাম্পেই লাগতো। তবে কিপার হিসেবে বোঝা কঠিন সোজা আসছে কিনা। এরকম ভুল হয়ে যায়, কিন্তু এর মানে এই না এতে তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হবে।’
সৌম্যে সরকারের উদাহারন টেনে মাশরাফি আরও বলেন, ‘মুশফিক অবশ্যই পেশাদার খেলোয়াড়। আর সব খেলোয়াড়ই সহজ সুযোগ মিস করে ফেলে। গত ম্যাচে সৌম্য একটা সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু সে আগে দুর্দান্ত সব ক্যাচ নিয়েছে। কাজেই এটা নিয়ে আলাদা কথা বলার কিছু নেই। আজও পরে যখন রস টেইলর আর গ্র্যান্ডহোমের ক্যাচ নিল সেগুলোও টার্নিং পয়েন্ট হতে পারত।’