

বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের জন্য আরও একটি স্বপ্নভঙ্গের রাত। খুব কাছে এসেছে ধরা গেল না জয়টা, তীরে এসে আবার ডুবল তরি। বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দাপুটে জয়ের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটে হার। এই হারের জন্য টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে দাঁড় করাচ্ছেন মুশফিকের রান আউটকে।

‘মুশফিকের রান আউট’, কিউইদের বিপক্ষে হারের অন্যতম কারণ। তবে এখানে আপনার ভাবনায় যেটা এসেছে, মাশফারি সেই রান আউটের কথা টানেননি একেবারেই। গত ৫ জুন বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের খেলায় অল্প রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ যখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ এক শুরু করে, কিউই শিবিরের পরপর দুই উইকেটের পতন ঘটায়।
এর পরেই ১২ তম ওভারের ২য় বলে রস টেইলর আর কেন উইলিয়ামসন দ্রুত প্রান্ত বদল রোধ করতে গিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তে তামিম ইকবাল রান আউটের জন্যে বল ছুড়েন। বলটি স্ট্যাম্প বরাবরই যাচ্ছিলো কিন্তু মাঝখানে যেনো দেয়াল হয়ে দাঁড়ালো মুশফিকের কনুই। উইকেটের অগ্রভাগে এসে বলটি ধরতে গিয়েই কনুইয়ের গুঁতোয় বেল নাড়িয়ে দেন মুশফিক। ফলে বল হাতে আসলেও উইকেট উঠিয়ে না ফেলার দরুন ক্রিজের অনেক বাইরে থাকার পরেও কেন উইলিয়ামসনকে নট আউট দিতে বাধ্য হয় আম্পায়ার।
কার্যত সেখান থেকেই জয়ের স্বপ্নে চির ধরে বাংলাদেশ দলের। তবে মাঠের ক্রিকেটে শেষ পর্যন্ত নিজেদের চেষ্টার খামতি রাখেননি ক্রিকেটাররা। খুব কাছে এসেও জয়টা রয়ে গেছে অধরা, হারতে হয়েছে ২ উইকেটের ব্যবধানে। সেই রান আউটের জন্য খোয়াতে হয়েছে ম্যাচ, এমন দাবিতে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে মুশফিককে।
তবে টাইগার অধিনায়ক ম্যাচ শেষে দাঁড়িয়েছেন মুশফিকের পাশের, ‘এটা খেলার অংশ। কেউ ভুল করতে চায় না। এটা হয়ে যায়।’
মুশফিকের রান আউটের জন্যই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গেছে বলে জানান মাশরাফি। কিন্তু সেটা ফিল্ডিংয়ে নয়, ব্যাটিং মুশফিকের রান আউট। ম্যাচ হারের টার্নিং পয়েন্ট জানাতে যেয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টটা ছিলো সাকিবের সাথে জুটি হওয়ার পর মুশফিকের রান আউটটা। আবার মিঠুনের সঙ্গে সাকিবের জুটি জমেও ভেঙে যাওয়া। আমরা যদি আরও ২০-২৫ বা ৩০ রান বেশি করতাম তাহলে ভিন্ন কিছু হতো। আউটফিল্ডও বেশ মন্থর ছিল।’