
স্কোরবোর্ডে রান ছিল না বেশি। সেই ছোট সংগ্রহকে ডিফেন্ড করতে টাইগারদের বোলিংয়ে নেমে করতে হতো বিশেষ কিছু। বোলাররা করেছেনও বেশ ভালো, তবে বড্ড দেরিতে। এক ভুলের মাশুল দিয়ে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম পরাজয়ের মুখ দেখলো বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট হয়েছিল ৪৯ ওভার ২ বলের মাথায়।
তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্টের শুরুর স্পেল সামলে নিচ্ছিলেন। ৯ম ওভারে ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় হেনরির বলে বোল্ড হন সৌম্য। এরপর তামিমও বেশিদূর যেতে পারেননি। ২৪ রান করে ফার্গুসনের পেসে বিভ্রান্ত হয়ে আউট হন তামিম ইকবাল।

সাকিব ও মুশফিক গত ম্যাচের ন্যায় জুটি গড়ার আভাস দিচ্ছিলেন। তবে মুশফিক (১৯) ফেরেন রান আউট হয়ে। সাকিব ও মিঠুন ৪১ রানের জুটি গড়েন। মিঠুন ফেরেন ২৬ রান করে। এরপর টানা দুই ফিফটি করা সাকিব আল হাসান ফেরেন ৬৪ রান করে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২০), মোসাদ্দেক হোসেন (১১) সুবিধা না করে উঠতে পারলেও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের২৩ বলে ২৯ রানের সুবাদে ২৪৪ অব্দি যেতে পারে বাংলাদেশ।
২৪৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো আগ্রাসী শুরু করেন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা দুই ওপেনারকেই ফেরান সাকিব আল হাসান। ১২ তম ওভারে ফিরতে পারতেন কেন উইলিয়ামসনও। তবে রান আউটের সহজ সুযোগ মিস করেন মুশফিকুর রহিম।
কিউইদের রান ছিল তখন ৬১। কেন উইলিয়ামসন রস টেইলরের ১০৫ রানের জুটি যখন থামে দলের রান তখন ১৬০। ঐ ওভারেই ফেরেন কোন রান না করা টম লাথাম।
৮২ রান করা রস টেইলরকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমানোর আভাস দেন মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর গ্র্যান্ডহোম, নিশাম, হেনরিরা আউট হলেও স্যান্টনার-ফার্গুসনরা কিউইদের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ১৭ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জেতে নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচসেরা হন রস টেইলর।