

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর ম্যাচে স্কোরবোর্ডে ৩০৫ রান তুলেও জয় পাওয়া হলোনা মাশরাফি বাহিনীর। তামিম, মুশফিকদের ব্যাটে রান পাবার দিনে বোলাররা ছিলেন নিষ্প্রভ। জো রুট, অ্যালেক্স হেলস, মরগানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যাবধানে।
টসে জিতে ওভালে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক মরগান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার শুরুটা করেছিলেন সাবধানেই। তামিম ইকবাল শুরুতে ১৭ বল খেলে করেন ৩ রান! পরে রানের গতি ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকেন দুজনই। দলকে ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দিয়ে সৌম্য সরকার বিদায় নেন স্টোকসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে।দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা জনি বেয়ারস্টো সহজ ক্যাচ ধরে স্টোকসের মুখে হাসি ফোটান। ইমরুল কায়েস ক্রিজে আসার পর থেকেই রান করছিলেন বলের সাথে পাল্লা দিয়েই। তবে প্ল্যাংকেটের প্রথম শিকার হয়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন ২০ বলে ১৯ রান করে। ৯৫ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস শক্ত এক ভিত্তি পায় তামিম-মুশফিক জুটিতে। দুইজন মিলে ৩য় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৬৬ রান। যা কিনা ২০১৫ সালে অ্যাডিলেডে মুশফিক-রিয়াদের ১৪১ রানের জুটিকে টপকে এখন এশিয়ার বাইরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। ওভালে ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ রানের(১২৮) ইনিংস খেলে তামিম ইকবাল আউট হবার পরের বলেই তাকে অনুসরণ করেন ৭৯ রান করা মুশফিক। শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরা দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে থামে ৩০৫ রানে। লিয়াম প্ল্যাংকেট ইংল্যান্ডের হয়ে নেন চারটি উইকেট।
ব্যাটিং বান্ধব ওভালে ৩০৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দলীয় ৬ রানের মাথায় ওভালের ঘরের ছেলে জেসন রয় ফিরে যান মাশরাফির বলে মুস্তাফিজ দারুণ এক ক্যাচ ধরলে। তবে অ্যালেক্স হেলস ও জো রুট ২য় উইকেট জুটিতে ১৫৯ রান যোগ করে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন দারুণভাবে। পার্ট টাইম বোলার সাব্বিরের বলে হেলস ৯৫ রানে আউট হলে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে। তবে সেই স্বস্তি মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি। জো রুট-মরগানের ৩য় উইকেট জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের। জো রুট পান শতকের দেখা এবং মরগানকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় অর্ধশতকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ ৩০৫/৬(৫০), তামিম ১২৮, মুশফিক ৭৯, প্ল্যাংকেট ৫৯/৪
ইংল্যান্ড ৩০৮/২(৪৭.২), রুট ১৩৩*, হেলস ৯৫, সাব্বির ১৩/১
ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরাঃ জো রুট।