

চলমান বিশ্বকাপের ৯ নম্বর ও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে আজ একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে দুই দল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। যেখানে হেনরি-ফার্গুসনদের আগুনে বোলিংয়ের মুখে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। তবে ব্যাট হাতে অনবদ্য ছিলেন সাকিব আল হাসান, তুলে নিয়েছেন নিজের ‘ব্যাক টু ব্যাক’ অর্ধশতকটা। এর সাথে শেষদিকে সাইফউদ্দিনের কল্যাণে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ২৪৪ রানের পুঁজি পায় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

এদিন লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টসে হেরে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। নিজেদের শুরুর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে এই দুই ব্যাটসম্যান উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান যোগ করলেও আজ থেমেছে তার থেকে ১৫ রান কম অর্থাৎ ৪৫ রানে। ২৫ রানে থাকা সৌম্যকে আউট করে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন ম্যাট হেনরি।
১৫ রান বাদে ২৪ রানে থাকা তামিমও সৌম্যর পথের অনুসারী হলে ৬০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। সেখান থেকে আজও দলের হাল ধরার চেষ্টা করে সাকিব-মুশফিক জুটি, তবে ৫০ এর বেশি এই জোট বাড়তে পারেনি ভুল বুঝাবুঝির কারণে। ১৯ রানে থাকা মুশফিক রান আউট হয়ে ফিরলে নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ভালোই সামাল দিতে থাকেন সাকিব, তুলে নেন এই ফরম্যাটে নিজের ৪৪ তম অর্ধশতকটা।
ফিফটি করার পরেই যেন খেই হারালেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, নিজের ৬৪ রানের সময় উইকেট দিয়ে আসলেন গ্র্যান্ডহোমকে। ইনিংসের ৩১ তম ওভারে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান। এরপর উইকেটে সেট হয়েও নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারলেন না মোহাম্মদ মিঠুনও, ম্যাট হেনরিকে তুলে মারতে যেয়ে আউট হয়েছেন তিনি।

সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব পড়ে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উপর। সেই দায়িত্ব আজ পালন করতে ব্যর্থ দিয়াদ, স্যান্টনারের বলে উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২০ রানে।
সৈকতও ১১ রান করে আউট হয়ে গেলে শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ২৯ রানের কল্যাণে ২৪৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ২৪৫ রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২৪৪/১০ (৪৯.২ ওভার) সাকিব আল হাসান ৬৪, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২৯, মোহাম্মদ মিঠুন ২৬, সৌম্য সরকার ২৫, তামিন ইকবাল ২৪; ট্রেন্ট বোল্ট ২/৪৪, ম্যাট হেনরি ৪/৪৭, মিচেল স্যান্টনার ১/৪১, লকি ফার্গুসন ১/৪০