

প্রথমে স্বাগতিক ইংল্যান্ড, তারপর বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই হারের লজ্জা দিয়ে শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তাদের তৃতীয় ম্যাচে এসে জয় ছাড়া কোনকিছু ভাববার অবকাশ ছিলোনা। সেখানে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ভারত আছে সম্পূর্ণ ফুরফুরে মেজাজে। আর তারা ভালো করেই জানে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তাদের পড়তি ফর্ম। সেই অবস্থারই সুযোগ নিলো বোধহয় তারা।
ইনজুরি কাটিয়ে খেলতে নামা হাশিম আমলা আর কুইন্টন ডি কক যখন ইনিংসকে একটি ভালো শুরুর জন্যে লড়ছিলেন, তখনই শুরুর ধাক্কাটা দিলো ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরা। দলীয় ১১ রানের মাথায় হাশিম আমলাকে রানে তুলে নিলো দুর্দান্ত এক বলে।
এরপর বুমরা নিজের পরের ওভারে এসেই তুলে নেয় কুইন্টন ডি কককে। প্রতিপক্ষকে রান তুলতে না দিয়ে আর নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়ে ভালোই বিপদে ফেলেছিলেন বুমরা। ফাফ ডু প্লেসিস আর ভ্যান ডার ডুসেন মিলে দলকে একটু শক্ত অবস্থানে নেয়ার চেষ্টা করলে যুজবেন্দ্র চাহাল ২০তম ওভারে এসে পর পর তুলে নেন এই দুজনকেই।
প্রোটিয়ারা যখন ১৫০ নিয়ে চিন্তিত, তখনই ডেভিড মিলার চেষ্টা করেছিলেন দলকে ইনিংস ধ্বস থেকে বাঁচাতে। জেপি ডুমিনি খুব একটা সমর্থন দিতে না পারলেও ফেলুকয়ায়োকে নিয়ে সেই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন মিলার। কিন্তু দলের রান যখন ১৩৫, ইনিংসের ৩৬ তম ওভারে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
ফেলুকয়ায়ো নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করে দলের রান ১৫০ পার করালেও আবারো সময় মত চাহাল বোলিং’এ এসে ফেলুকয়ায়োকে বোকা বানিয়ে স্ট্যাম্পিং করান। সপ্তম উইকেট হয়ে তিনি যখন ফিরছিলেন তখন তার রান ৩৪ আর দলের ১৫৮।
এরপর স্রোতের বিপরীতে লড়াইটা চালিয়ে গেলেন ক্রিস মরিস। ৩৪ বলে ২ ছয় আর ১ চারে ৪২ রানের ইনিংসটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দেয় লড়াই করার মত পুঁজি। ৫০তম ওভারে মরিস যখন আউট হলেন, দলের ২২৪ রান ৮ উইকেটে। রাবাদা মরিসকে অসাধারণ সমর্থন জুগিয়ে ৩১ রান করেন ৩৫ বলে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৯ম উইকেটের পতন হয় ২২৭ রানে। ইমরান তাহির দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরের আউট হওয়া শেষ ব্যাটসম্যান, ফিরেছেন কোনো রান না করেই।
ভারতের হয়ে যুজবেন্দ্রর চাহাল নেন ৫.১০ ইকোনমিতে ৪ উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমার আর বুমরা নেন দুটি করে উইকেট। আর একটি উইকেট যায় কুলদীপ যাদবের পকেটে।