

লড়াইটা ছিলো পয়েন্ট টেবিলের তলানির দুই দলের। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। যেখানে ২০১ রানে লঙ্কানদের গুটিয়ে দেওয়ার পর বৃষ্টি আইনে আফগানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিলো ৪১ ওভারে ১৮৭ রানের। তবে সেটাও টপকাতে ব্যর্থ গুলবাদিন নাইবের দল, ম্যাচ হেরে বসলো ৩৪ রানে।
১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের শুরুটা বেশ ভলোই করে আফগানিস্তান, মাত্র ৪ ওভার ৪ বল থেকেই ৩৪ রান তুলে ফেলেন দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদ ও হযরতউল্লাহ জাজাই। তবে ৭ রানে থাকা শেহজাদকে মালিঙ্গা সাজঘরে ফেরালে বিপদ যেন ধেয়ে আসে আফগানদের দিকে। দলীয় ৪২ ও ৪৪ রানে রহমত শাহ (২) আর জাজাই (৩০) আউট হয়ে গেলে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হাসমতউল্লাহ শহীদী ও মোহাম্মদ নবিও, ফলে ৫৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
এরপর নাজিবউল্লাহ ও গুলবাদিন ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন খানিক। দুজনের ৬৪ রানের জোটের মাথায় ২৩ রানে থাকা নাইবকে আউট করে আফগানদের কোমড়টাই যেন ভেঙে দিলেন নুয়ান প্রদীপ। ২ রানের ব্যবধান নিজের চতুর্থ শিকার বানিয়ে ফিরিয়েছেন রাশিদ খানকেও। এরপর নাজিবউল্লাহও ৪৩ রান করে আউট হয়ে গেলে ১৫২ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ফলে শ্রীলঙ্কা জয় পায় ৩৪ রানে।
এর আগে টস হেরে কুশল পেরেরাকে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। উদ্বোধনী জুটিতেই আফগানিস্তানের বোলারদের রীতিমত শাসন করতে থাকেন দুজন, তবে বিপত্তিটা বাধে দলীয় ৯২ রানের মাথায়। মোহাম্মদ নবির বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান করুনারত্নে।
এরপর গত ম্যাচে ওপেন করা লাহিরু থিরিমান্নে আজ নিজের ব্যাটিং অর্ডার বদলে আসেন তিনে ব্যাট করতে, কুশালের সাথে পাল্লা দিয়ে ভালোই সামাল দিচ্ছিলেন তিনিও। দুজনের ৫২ রানের জোটের সময় আবারও আফগানদের ত্রাতা হয়ে আসেন মোহাম্মদ নবি, লাহিরুকে ফেরান ২৫ রানে। এরপরই যেন ঝড় বয়ে যায় শ্রীলঙ্কা দলের উপর দিয়ে। ওই ওভারেই নবির বলে সাজঘরের পথ ধরেছেন কুশাল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
খানিক বাদে একই পথ অনুসরণ করেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও, হামিদ হাসানকে উইকেট দিয়ে তিনি ফিরিছেন শূন্য হাতে। ৩ ওভার পর ২ রান করা থিসারা পেরেরা রান আউটে কাটা পরলে স্কোর বোর্ডে ১৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা।
একপ্রান্ত আগলে থাকা কুশাল পেরেরাকে এবার সঙ্গ দিতে আসেন ইসুরু উদানা, তবে ক্রিজে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনিও। উদানা ১০ রান করে আউট হওয়ার পরপরেই ব্যক্তিগত ৭৮ রানে আউট হয়ে গেছেন কুশালও।
সেখান থেকে দুই নতুন ব্যাটসম্যান সুরাঙ্গা লাকমাল ও লাসিথ মালিঙ্গা উইকেটে নামলে বৃষ্টি বাধার মুখে পড়ে ম্যাচ। বৃষ্টি থামলে ৩৩ ওভার থেকে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানে আবার ইনিংস শুরু করা লঙ্কানরা থামে ২০১ রানে।