

২০০৭ সাল, পোর্ট অব স্পেনে তারা তিন জন (সাকিব, তামিম, মুশফিক) খেলতে নেমেছিলেন নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ, বিপক্ষ হট ফেভারিট ভারত। শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি, হরভজন সিংয়ের ভারতকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। ১২ বছর পর তাদের তিনজনের একসাথে খেলা ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আবারও ২০১৯ বিশ্বকাপের শুভসূচনা হল বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসান বলছেন তাদের এই দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে তরুণদের, জানিয়েছেন সমর্থকদের প্রত্যাশার কথা।

চলমান ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা চারজন ক্রিকেটার খেলছেন। সাকিব, তামিম, মুশফিকের প্রথম বিশ্বকাপ হলেও মাশরাফির ছিল দ্বিতীয় বিশ্বকাপ, ২০০৩ বিশ্বকাপেও ম্যাশ খেলেছিলেন দুটি ম্যাচ। তবে একটা জায়গায় চারজনই সমান, চারজনই এবার খেলছেন নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপে নাম লেখানো মাশরাফি নাটকীয়ভাবে মিস করেছেন ২০১১ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ। অন্যদিকে ২০০৭ থেকে এখনো পর্যন্ত সবগুলো বিশ্বকাপেই খেলেছেন সাকিব, তামিম আর মুশফিক।
এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সমাহার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বাকী দলগুলোর একটিতেও নেই। লন্ডনের কিংস্টন ওভালে গত ২ জুন র্যাংকিংয়ের উপরের সারির দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হওয়া বাংলাদেশের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান বলছেন তাদের এমন অভিজ্ঞতায় ভরপুর যাত্রা কাজে লাগবে তরুণদের।
সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি এটা আমাদের অনেক সাহায্য করবে। আমাদের মধ্যে চারজন নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলছি। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা তরুণদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারবো। যারা এ ধরনের টুর্নামেন্টে নতুন, যারা নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে।’

নিজের প্রথম বিশ্বকাপ আর এবারের বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাকিব তুলে ধরেছেন প্রত্যাশার পার্থক্য। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ দল আক্ষরিক অর্থেই গুটি গুটি পায়ে দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণের পথে এগুচ্ছিল। ছিলনা পায়ের নিচে এখনকার মত শক্ত মাটি, আর এবারতো ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও বলছেন বাংলাদেশ খেলতে পারে সেমিফাইনাল।
সাকিবও তুলে ধরলেন সে বাস্তবতাটাই, ‘সেবার (২০০৭) আপনি যদি ভালো খেলতেন সেটাই হত আমাদের জন্য ও ভক্ত সমর্থকদের জন্য আনন্দের। এখন তারা কোন দলের বিপক্ষেই আমাদের হার মেনে নিতে পারেনা। এটাই ভক্তদের প্রত্যাশা, যা আমরা অর্জন করেছি।’