লঙ্কান দলে ‘১০০ বল’ খেলার আকুতি

শ্রীলঙ্কা
Vinkmag ad

গত বিশ্বকাপের পর থেকেই বদলাতে শুরু করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের চিত্র। গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের অবসরে যাওয়ায় পারফরম্যান্সে আসে ছন্দপতন, দল হিসেবে হয়ে পড়ে কোনঠাসা। চলমান ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপ শুরু করে আন্ডারডগ তকমা নিয়ে, প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে বাজেভাবে। ব্যাটিং কোচ দায়ী করছেন টপ অর্ডারকে, অন্তত ১০০ বল খেলার মত একজন তার চায়।

prv 1516344412
ফাইল ছবি

পহেলা জানুয়ারি ২০১৮ থেকে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কম সামগ্রিক ব্যাটিং গড় শ্রীলঙ্কার, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১০ দলের মধ্যে তাদের ব্যাটিং গড়ই ৩০ এর নিচে (২৪.৬১)। দলগুলোর মধ্যে এই সময়কালে সর্বনিম্ন শতক সংখ্যাও তাদের, সবেমিলিয়ে ৫টি।

শনিবার (৩১ মে) কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের কাছে দিমুথ করুনারত্নের শ্রীলঙ্কা হেরেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে। দলের ব্যাটিং কোচ বেন লুইস বলছেন এমন পরিস্থিতিতে তার কাছে সমাধান একটাই। অন্তত ১০০ বল ক্রিজে টিকবে এমন কাওকে চান।

বিশ্বকাপের ঠিক এই মুহূর্তে আপনার সবচেয়ে বেশি কি প্রয়োজন? এমন প্রশ্নের জবাবে এসেক্সের এই সাবেক ক্রিকেটার জানান, ‘এমন একজন যে অন্তত ১০০ টি বল খেলে আসবে। দিমুথ অসাধারণ একজন, সে সেঞ্চুরি করা মানেই ১২০ বল খেলা। শুরুটা একটু ধীরে হলেও শেষদিকে সে দ্রুত রান তোলে। এরপর আছে কুশাল, সে ৭০-৮০ রান করলেও স্ট্রাইক রেট নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। তার স্ট্রাইক রেট ১০০ এর কাছাকাছি। আর স্ট্রাইক রেট আমাদের সমস্যাও না।’

images 2019 06 04T102542.596

মূল সমস্যা তুলে ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজারের বেশি রানে মালিক জানান, ‘আমাদের মূল সমস্যা লম্বা কোন ইনিংস খেলতে না পারা। শেষ ম্যাচেও ১০০ বল হাতে থাকতেই খেলা শেষ।  একটু পেছনে ফিরে যাই, সম্ভবত গত বছরের আগস্টে আমরা ম্যাথুসের ব্যাটে ৭০ পেয়েছি। এরপর আরও দুটি সেঞ্চুরি আসে, একটি থিসারা পেরেরার, আরেকটি কুশাল মেন্ডিসের। ইনিংস দুটি বেশ সুন্দর ছিল। আপনি চাইবেন দলের কয়েকজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ভালো করুক, দল হিসাবে জানান দিবে, আপনার শক্তিমত্তার পরিচয়ও ঘটবে। দলকে ৫০ ওভার খেলার মত একটা গতি টপ অর্ডারই দিতে পারে।’

ভালো একটা শুরুই ইঙ্গিত দেয় ভালো একটা শেষের। তেমনি ভালো একটা ভিত্তি গড়ে দিতে পারলে পরের ব্যাটসম্যানরা চাপমুক্তভাবে করতে পারেন শেষ! এমন প্রসঙ্গ টেনে ৪৯ বছর বয়সী লুইস জানান, ‘উপরের দিকের ৪-৫ জনের কেউ যদি ১০০ বল খেলতে পারে তাহলে ভিত্তিটা শক্ত হয়। পরে যাওয়া উদানা, থিসারা পেরেরারা চাইলে ছোটখাটো ঝড় তুলতে পারেন, কর‍তে পারেন দুর্দান্ত ফিনিশিং। অথচ আমরা তাদের অমন ভিত্তিটা করে দিতে পারছিনা। আমাদের এসব জায়গায় উন্নতি ঘটাতে হবে। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের এসব যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

‘হ্যাটট্রিক’ এর সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাককুলাম!

Read Next

‘এখন সমর্থকেরা কোন দলের বিপক্ষেই হার মেনে নিতে পারেনা’

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Total
0
Share