

টানা ১১ ওয়ানডে হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো পাকিস্তান। বড় হারে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা পাকিস্তান দ্বিতীয় ম্যাচে এসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলো সরফরাজ আহমেদের দল। এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই কিছুদিন আগে ৫ ম্যাচের সিরিজে জয় শূন্য ছিলো পাকিস্তান।
ট্রেন্টব্রিজে টসে জিতে আগে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান ইংলিশ দলপতি এউইন মরগান। ইমাম উল হক (৪৪) ও ফখর জামান (৩৬) পাকিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৫ বলে ৮২ রান।
ফখর জামানকে স্টাম্পিং করে মরগানের মুখে হাসি ফোটান মইন আলি। পরে ফখরের সঙ্গী হয়ে নামা ইমাম উল হকের উইকেটও দখল করেন মইন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ মিলে যোগ করেন ৮৮ রান। ৬৩ রান করে মইন আলির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন বাবর আজম।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। তবে ৬২ বলে ৮ চার, ২ ছয়ে ৮৪ রান করে মার্ক উডের বলে আউট হন তিনি। ফিফটি তুলে নেন পাকিস্তান দলপতি সরফরাজ আহমেদও (৪৪ বলে ৫৫)। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান তুলতে সমর্থ হয় পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস ও মইন আলি। এছাড়া মার্ক উড নেন ২ উইকেট। এদিন খরুচে ছিলেন জফরা আর্চার। ১০ ওভারে ৭৯ রান হজম করেও কোন উইকেট পাননি তিনি।
৩৪৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা আশা জাগানিইয়া করতে পারেনি ইংল্যান্ড। তৃতীয় ওভারেই শাদাব খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটি করা জেসন রয়। জনি বেয়ারস্টো শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩১ বলে ৪ চার, ১ ছয়ে ৩২ রান করে আউট হন তিনি।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানকে বেশিদূর বাড়তে দেননি মোহাম্মদ হাফিজ। ৯ রানের মাথায় হাফিজের বলে বোল্ড হন মরগান। বেন স্টোকসকে (১৩) ফেরান আরেক অফ স্পিনার শোয়েব মালিক।
১১৮ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর জো রুট ও জস বাটলার ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান দারুণভাবে। জো রুট (১০৭) প্রথমে ও পরে জস বাটলার (১০৩) তুলে নেন সেঞ্চুরি।
তবে শেষদিকে মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজের দাপুটে বোলিংয়ে পার পায়নি ইংল্যান্ড। ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান করে থামে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান ম্যাচ জিতে নেয় ১৪ রানে।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩ উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ। ২ টি করে উইকেট নেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ আমির।