

ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের জায়গাটা রেজিস্ট্রি করা বলা যায়, লড়াইটা তার সঙ্গী নিয়ে। সেই লড়াইতে বেশ ভালোভাবে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছেন সৌম্য সরকার ও লিটন কুমার দাস। বিশ্বকাপের নিজেদের শুরুর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ হাসি থাকবে কার মুখে? এনিয়ে অবশ্য একেবারেই ভাবছেন না লিটন, দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রসঙ্গ উঠতেই উড়িয়ে দিলেন কৌশলে।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা পুরনো কাসুন্দি। ওপেনিংয়ে তামিমের পার্টনার পেতে কম পরীক্ষানিরীক্ষা হয়নি। সাকিব আল হাসান তিন নম্বরে নিয়মিত হওয়ার আগ অবধি কিছুতেই যেন মিলছিলো না সুরহা। তিনে সমাধান হলেও ওপেনিং আস্থার প্রতিদিন দিতে পারছিলেন না কেও।
তবে হঠাৎ করেই যেন পাল্টাতে শুরু করলো দৃশ্যপট। গত বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর থেকে দারুণ ছন্দে সৌম্য সরকার। সৌম্যর বিশ্রামে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লিটন সুযোগ পেয়ে খেলে বসলেন ৭৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে কার্ডিফে ভারতের বিপক্ষে আবার হাঁকালেন ফিফটি।
টপ অর্ডারের সেই ‘সমস্যা’ এবার রূপ নিলো ‘মধুর সমস্যা’ তে। আগামী ২ জুন মিশ্ব মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে দ্বিধায় বাংলাদেশ। সৌম্য নাকি লিটন, তামিমের সঙ্গী হচ্ছেন কে?

গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া টাইগারদের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস অবশ্য উত্তর দিলেন নিরাপদ অবস্থানে দাঁড়িয়েই। বললেন, ‘দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারটা আমি জানি না। এখানে আমাদের একটা দল হিসেবে খেলতে হবে। আমি তো জানিই না কার সঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে! ভালো করতে হলে আগে দলগতভাবে খেলতে হবে। যে যেখানে খেলবে, সে যেন ভালো খেলে।’
তবে সুযোগ পেলে যে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিবেন, সেটাও জানিয়ে রাখলেন ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘দলের জন্য যে কোনো কিছুই করতে পারি। টিম ম্যানেজমেন্ট যে দায়িত্বটা দেবে তা পালন করতে চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে তো অবশ্যই চেষ্টা করব ভালো খেলার। সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।’