

ইংল্যান্ড জফরা আর্চারকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভূক্ত করেছে মূলত তাঁর ভয়ঙ্কর গতির কারণে। বিশ্বকাপে সেই গতির ঝড় তোলা শুরু করেছেন আর্চার। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বল হাতে নেমে গতিময় এক বাউন্সারে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন হাশিম আমলাকে। ৬ উইকেট পড়ে যাবার পর অবশ্য আবার মাঠে নেমেছেন আমলা।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে আর্চারের হাত থেকে বের হয় ১৪৪.৮ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতির এক গোলা। লাফিয়ে ওঠা সেই বল আঘাত হানে আমলার হেলমেটের গ্রিলে। বল আর্চারের হাত থেকে ভের হয়ে আমলার হেলমেটের গ্রিলে আঘাত হানে ০.৪৭ সেকেন্ডের মধ্যেই!
আমলা এরপর দ্রুত মাঠ ছাড়েন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন এইডেন মার্করাম। আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ৮ বলে ৫ রান করেন আমলা। আর্চারের করা ঐ ওভারেই মেরেছিলেন ১ চার। মার্করাম অবশ্য বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি। ১২ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন আর্চারের বলে রুটকে ক্যাচ দিয়ে। উইকেটে এসেই আর্চারকে চার মেরে শুরু করা প্রোটিয়া অধিনায়ক আউট হন আর্চারের বাউন্সারে মইন আলিকে ক্যাচ তুলে দিয়ে।
৭৪ বলে ৬ চার, ২ ছয়ে ৬৮ রান করে আউট হন কুইন্টন ডি কক। জেপি ডুমিনি ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসও রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১ রান করে।
আর্চারের তৃতীয় শিকার হয়ে আউট হন ফিফটি করা ভ্যান ডার ডুসেন (৫০)। ডুসেন ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হবার পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন আমলা।
এর আগে ব্যাট করে চার ফিফটিতে ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩১১ রান তোলে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে স্টোকস সর্বোচ্চ ৮৯ রান করে। অধিনায়ক এউইন মরগান ৫৭, ওপেনার জেসন রয় ৫৪ ও তিনে নামা জো রুট করেন ৫১ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে লুঙ্গি এনগিডি নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা নেন ২ টি করে উইকেট। আন্ডিলে ফেলুকওয়ায়ো নেন ১ উইকেট।