

১৯৯২ থেকে ২০১৫ , ৭ বার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে চারবারই খেলেছে সেমিফাইনাল। কিন্তু দৌড়টা ওই পর্যন্তই, ফাইনাল আর খেলা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার, শিরোপাতো অনেক দূরে। অথচ দল হিসেবে প্রতিবারই বেশ শক্তিশালী ছিল, ফাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্বাধীন এবারের দলটাও দুর্দান্ত। পূর্বের ব্যর্থতার দায়ে বাড়তি চাপ নিতে নারাজ প্রোটিয়া দলপতি, বিশ্বকাপ না জিতলে জীবন থেমে থাকবেনা বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।

আজ (৩০ মে) থেকে শুরু হওয়া ইংল্যান্ড আর ওয়েলস বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। শিরোপা জয়ে সবার থেকে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মত ফেভারিটদের তকমা লেগে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার আগেও। তবে অতীত ইতিহাসের কারণেই তাদের নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
সেমিফাইনালে মাঠে নামলেই যেন অদ্ভুত এক ভূত কাঁধে চেপে বসে প্রোটিয়াদের। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ অংশগ্রহণেই সেমিফাইনাল খেলে ফেলে, জিততে জিততেও বাদ পড়ে অদ্ভুত বৃষ্টি আইনে। সেই যে শুরু, এপরর ৯৯, ২০০৭ আর ২০১৫ মিলিয়ে আরও তিনটি সেমিফাইনালের ফলাফল একই। কেপলার ওয়েলস, হ্যান্সি ক্রনিয়ে, গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্সরা হয়েছেন ব্যর্থ। সেমিফাইনালেই থাকতে হয়েছে সন্তুষ্ট।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে অষ্টম বিশ্বকাপ খেলতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা কি পারবে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে? প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের রাখছেন ফ্রি, তারা জয়ের জন্যই নামবেন। কিন্তু জিততে না পারলে জীবনটাই বৃথা এমন দর্শনে বিশ্বাসী নন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ৩৪ বছর বয়সী প্রোটিয়া দলপতির বক্তব্য, ‘ক্রিকেট আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তবে ক্রিকেটই জীবনের সবকিছু নয়। আমি অবশ্যই ম্যাচ, শিরোপা জিততে চাই তবে এজন্য সবকিছুকে আলাদা করে নয়।’
বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্যেই এসেছেন, জিততে পারলে হবে অসাধরণ একটি ব্যাপার। তবে হেরে গেলে জীবন থমকে থাকবে না উল্লেখ করে ডু প্লেসিস আরও যোগ করেন, ‘আমাদের জিততে না পারাট অবশ্যই বাজে দৃশ্য হবে। তবে জীবনতো আর থেমে থাকবে না। এগিয়ে যাবো। যদি খেলোয়াড়েরা চাপমুক্ত থাকে আর মাঠে সেরাটা দিতে পারে তবে সেটাই হবে দারুণ কিছু। আর আমরা সেটাই চাচ্ছি।’