

ফুটবলে খেলোয়াড়দের অসাধাচরণের শাস্তিস্বরূপ লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়ার বিধান শতবছর পুরোনো। আজ (৩০ মে) থেকে শুরু হওয়া ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপের ম্যাচেও থাকছে লাল কার্ডের নিয়ম, দোষী ক্রিকেটার মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে দিয়ে যাবেন বোনাস রান। মূলত ক্রিকেট থেকে বিশৃঙ্খলতা ও খেলাটির ধারাবিরোধি কার্যক্রম দূরে সরাতেই এমন উদ্যোগ।

প্রতি বিশ্বকাপই নিয়মকানুনে কিছু পরিবর্তন দেখে থাকে। কারণ চার বছর ব্যবধানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের মধ্যবর্তী সময়ে ক্রিকেট নিয়মে হয়ে থাকে সংযোজন-বিয়োজন, কিংবা চালু হয় একেবারেই নতুন কোন রীতি। ফলে ২০১৬ সাল থেকেই মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমিসিসি) প্রস্তাবিত লাল কার্ড ও পেনাল্টি রান আইনটি ক্রিকেটে যুক্ত হলেও বিশ্বকাপে এবারই প্রথমবারের মত দেখা মিলবে।
এ নিয়মে ফুটবলের ন্যায় অপরাধীকে প্রাথমিকভাবে করা হবে সতর্ক, ঘটিনার পুনরাবৃত্তি ঘটলেই পাবেন চূড়ান্ত শাস্তি। শাস্তির নিয়মকানুনকে কয়েকটি স্তরে বন্টন করা হয়েছে। কখন, কেন, কিভাবে, কত সময়ের জন্য খেলোয়াড় বাইরে থাকবে আর প্রতিপক্ষ বোনাস রান পাবে সেটি পরিষ্কার করা হয়েছে ধাপগুলোতে।
অতিরিক্ত আবেদন কিংবা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষের ভাব দেখানো খেলোয়াড়কে সতর্ক করবে আম্পায়ার। ফের একই ঘটনা ঘটলে প্রতিপক্ষ পাবে বোনাস পাঁচ রান। এছাড়া কোন খেলোয়াড়ের দিকে নেতিবাচক উদ্দেশ্যে বল ছোঁড়া, শরীরের সাথে ধাক্কা লাগানোর শাস্তিস্বরূপও প্রতিপক্ষ পাবে বোনাস পাঁচ রান।
কোন খেলোয়াড়কে শারীরিকভাবে লাঞ্চনার হুমকি, জাতি, বর্ণ, ধর্ম ও যৌনতায় খোঁচা এবং আম্পায়ারকে ভয় প্রদর্শনের মত অপ্রীতিকর কিছু ঘটালে ১০ ওভার অথবা বাকী ইনিংসের ২০ শতাংশ ওভার মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ব্যাটসম্যান হলে পরবর্তী ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগে নামার সুযোগ থাকবেনা। শেষ জুটির কেও এমন অপরাধ করলে দলকে অল আউট বলে ঘোষণা করা হবে।
চূড়ান্ত ধাপে কোন খেলোয়াড় আম্পায়রকে হুমকি, অন্য খেলোয়াড়কে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করলে কিংবা জাতি, বর্ণ, ধর্ম নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তাকে সরাসরি মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হবে। সে যেতে অস্বীকৃতি জানালে অধিনায়কের মাধ্যমে আবার বার্তা পাঠাবে আম্পায়ার। এরপরেও সে না গেলে আম্পায়ার দ্রুত ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিবে সেক্ষেত্রে দোষী ক্রিকেটারের দলকেই অবধারিতভাবে মাশুল গুনতে হবে।