

আইসিসি’র ওয়েবসাইটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের পক্ষ হতে নির্বাচিত হওয়া শুভেচ্ছাদূত হাবিবুল বাশারের লিখা কলামের চুম্বক অংশ-
বড় টুর্নামেন্টে ইংলিশদের বিপক্ষে বরাবরই দুর্দান্ত বাংলাদেশ। আশার ঝলক টা এখানে। এরই মধ্যে শেষ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট। এই ম্যাচের উত্তেজনা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ইংল্যান্ড নিজেদের মাঠে খেলছে। স্বাগতিক হিসেবে সুবিধা যেমন পাবে তেমনটা থাকবে চাপও। দর্শক-সমর্থক যে এখানে একপক্ষীয় হবে তা না, ওভালের মাঠে প্রচুর বাংলাদেশী দর্শক খেলা দেখবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। এ জন্যই দেশের বাইরে খেলার অনুভূতি বাংলাদেশ দলের হবেনা বলেই আমার মনে হয়।
তার মানে এই না যে, বাংলাদেশের কাজ সহজ হয়ে যাচ্ছে। এখনকার ইংল্যান্ড দল পারফর্ম করছে দুর্দান্ত। ২০১১ আর ২০১৫ সালের দলের দিকে তাকালে এই দলটা একেবারেই আলাদা। এখন দলে যারা আছে তারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে। এই সময় তাদের হারানো বেশ কঠিন হবে। কিন্ত এখানে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে সেরা দলকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হতে হবে আপনাকে। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ দলের ভেতরও এই চিন্তা আছে যে, ওদের মাটিতে ওদের হারাতে হলে সব বিভাগেই নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে।
‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশই ভারত উপমহাদেশের একমাত্র দল। এমনটি হলেও অতীতে ভারত-পাকিস্তান দেখিয়েছে এই কন্ডিশনে কিভাবে খেলে সফল হওয়া যায়। এটাও হতে পারে বড় অনুপ্রেরণা। সেই সাথে আয়ারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডকে হারানোর তাজা স্মৃতি তো আছেই।
আমি আশা করি লন্ডনে রোদ ঝলমলে দিনই হবে, উইকেটও হবে দারুণ ক্রিকেটীয়। আর যদি আবহাওয়া মেঘলা হয় তবে উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য ব্যাটিং করতে একটু কঠিনই হয়ে যাবে। কেননা বল তখন অনেক সুইং করবে। আশা করছি এমন কিছু হবেনা।
বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় এডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে। আমি মনে করি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে পারে এবার কেনিংটন ওভালে। বাংলাদেশ এখন যে পর্যায়ে পৌছেছে তাতে নতুন করে প্রমান করার কিছু নেই। কেননা গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ যেভাবে খেলে আসছে সেভাবে খেললে যে কোন দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে। যদি ওরা না জেতে তাহলে সেটি হবে ওদের ব্যর্থতা। কারণ তারা খেলার মান ও ধারাবাহিকতা দিয়ে সবার প্রত্যাশাকে ওই যায়গায় নিয়ে গিয়েছে। ইংলিশরা অবশ্যই ফেভারিট। এসব বিশ্লেষক আর অভিজ্ঞদের ভুল প্রমাণের নজির ক্রিকেটে ভুরিভুরি। আমি নিশ্চিত যে, উদ্বোধনী ম্যাচটা দারুণ হবে এবং শেষ হাসিটা বাংলাদেশই হাসবে।
সূত্র-আইসিসিক্রিকেট