

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম প্রস্তুতিতে ৮৭ রানের বড় পরাজয়ের পর আজ আবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ উইকেটে হেরছে লঙ্কানরা। বিশ্বকাপের ঠিক আগে প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার প্রস্তুতি হলো ঠিকই, কিন্তু আত্মবিশ্বাসে বেশ পিছিয়ে পড়ল দলটি। শ্রীলংকার বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময়ে পায়ে বল গেলে চোটাক্রান্ত হন খাজা। আর সেই চোট নিয়েই ব্যাটিং তাণ্ডব চালান তিনি। তার ব্যাটে ভর করে লংঙ্কানদের বিপক্ষে ৩১ বল আগেই ৫ উইকেটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। দলের জয়ে ১০৫ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা।
সাউদম্পটনে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে অজিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা।
আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ব্যক্তিগত ১৬ রানে কেন রিচার্ডসনে বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধিমুথ করুণারত্নে। নাথান লায়নের বলে বোল্ড হওয়ার আগে আরেক ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে তুলে নেন ফিফটি। খিরিমান্নে ৫৬ রান করে আউট হলে পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা আর কোন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
কুশল মেন্ডিস ২৪, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ১৭, জীবন মেন্ডিস ২১, ধঞ্জয়া ডি সিলভা ৪৩, থিসারা পেরেরা ২৭, সুরাঙ্গা লাকমল ৭ ও মিলিন্দা শ্রীওয়ার্ধনের ৪ রানের সুবাধে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৯ রান করে শ্রীলঙ্কা।
অস্ট্রেলিয়া বোলারদের মধ্যে অ্যাডাম জাম্পা ২টি, মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভেন স্মিথ ও নাথান লায়ন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৪০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনীতে ১৬ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়কের বিদায়ের পর থেকেই বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন উসমান খাজা।
দ্বিতীয় উইকেটে শন মার্শের সঙ্গে গড়েন ৮০ রানের জুটি। ৪৬ বলে ৩৬ রান করে মার্শ আউট হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান উসমান। এরপর জুটি বাঁধেন অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে। এই জুটিতে গড়েন ৬৫ রান। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে ম্যাক্সওয়েল আউট হলেও অনবদ্য ব্যাটিং চালিয়ে যান খাজা।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা স্টয়নিসের সঙ্গে গড়েন ৪২ রান। ৩০ বলে ৩২ রান করে স্টয়নিস আউট হলেও ক্রিজে অবিচল ছিলেন খাজা।
দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন খাজা। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে তার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। দল জয় থেকে ২২ রান দূরে থাকতেই আউট হন খাজা। তার আগে ১০৫ বলে করেন ৮৯ রান। খাজার বিদায়ের পর অ্যালেক্স কেরি ও প্যাট কামিন্স দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।