

আর মাত্র দিন দুয়েক বাদেই শুরু হচ্ছে বাইশ গজের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে ক্রিকেট বোদ্ধাদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অংশগ্রহণকারী দশ দলের মধ্য থেকে কার মাথায় উঠছে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট, কেইবা হচ্ছে ক্রিকেট পাড়ার নতুন রাজা তা নিয়ে চলছে সকল জল্পনাকল্পনা। তারই অংশ হিসাবে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে হয়ে যাওয়া ২০০৭ বিশ্বকাপটা নিজেদের স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে চাইবে ভারতীয়রা। শচীন, গাঙ্গুলী, শেবাগ, দ্রাবিড়দের সমন্বয়ে গড়া দলটাকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করে বাংলাদেশ। প্রথম পর্ব থেকেই বাদ হয়ে যায় ভারত। ওই ম্যাচে ৫৬ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মুশফিক।
এখানেই শেষ নয়, প্রতিপক্ষের কাতারে ভারত দাঁড়ালেই নিজের ব্যাটটা যেন প্রশস্ত হয়ে যায় মুশফিকের। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে শচীন টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়া শততম সেঞ্চুরির ম্যাচেও ভারতকে পরাস্ত করতে হেসেছিলো মুশফিকে ব্যাট, ওই ম্যাচে শেষদিকে ৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সম্প্রতি মুশফিকের অনবদ্য ফর্ম প্রতিপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হবে বলে করেন হার্শা।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে পর্যালোচনা করতে যেয়ে ভারতীয় এই ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘সাকিব অলরাউন্ডারের এক নম্বর জায়গাটি ফিরে পেয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে। আমি বিশেষ করে মুশফিকের কথা বলবো, সে সব সময় লড়াই করতে পছন্দ করে। মুশফিক কেমন তা ভারত ভালো করেই জানে। ফিনিশিংটা ভালো করেন মাহমুদউল্লাহ। সাব্বির, লিটনও দুর্দান্ত।’
সাথে যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ অনেক অভিজ্ঞ একটা দল। বিশ্বকাপের তারা তাদের সেরা দলটা নিয়েই যাচ্ছে। প্রচণ্ড আবেগ নিয়ে খেলা একটি দল। তামিম, মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ অনেক দিন ধরে একসঙ্গে খেলছে।’
তবে ঘরের মাঠে ভালো করা বাংলাদেশ দলকে ইংল্যান্ডে বেশ পরীক্ষাই দিতে হবে মত হার্শা ভোগলের, ‘তামিম ইকবাল বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারের স্তম্ভ। সৌম্যে সরকারের আছে দুর্দান্ত সামর্থ্য। এছাড়া দলে মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। তবে ঘরের মাঠে তারা অনবদ্য হলেও ইংলিশ কন্ডিশনে মাশরাফি, মুস্তাফিজ আর রুবেলকে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে।’
একই সাথে অধিনায়ক মাশরাফির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় বাংলাদেশের পক্ষে যাবে। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দলটা পরিপূর্ণ অর্থেই দল হিসেবে গড়ে উঠেছে। যার নেতৃত্বটা দিচ্ছে মাশরাফি। হাঁটুর অস্ত্রোপচার, সেপটিপিনে ভর্তি ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে খেলা মাশরাফি দলটির মধ্যে একাত্মতা নিয়ে এসেছে। এ মুহূর্তে সেরা অধিনায়কদের একজন তিনি। পুরো দলটিকে তিনি ধরে রেখেছেন।’