

আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য গত ১৭ এপ্রিল ১৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল ইংল্যান্ড, ২৩ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ রেখেছিল আইসিসি। সেটা কাজে লাগিয়ে গত পরশু (২১ মে) ইংল্যান্ড দলে এনেছে তিনটি পরিবর্তন। নতুন অন্তর্ভূক্ত হওয়া জফরা আর্চার ও লিয়াম ডসনকে জায়গা দিতে ত্যাগ স্বীকার করেছেন ডেভিড উইলি ও জো ডেনলি। সিদ্ধান্তটি কঠিন হলেও যথার্থই বলছেন অধিনায়ক এউইন মরগান।
ক্যারিবিয়ান জফরা আর্চারকে দলে ভেড়াতে লম্বা সময় ধরেই পরিকল্পনা এঁটেছিলো ইংলিশ বোর্ড। তাকে বিশ্বকাপ দলে জায়গা দিতে কমিয়েছিলো ইংল্যান্ডে জন্ম না নেওয়াদের বসবাস মেয়াদও। কিন্তু গত মাসে ঘোষিত প্রাথমিক বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জফরার বাদ পড়ায় পক্ষে-বিপক্ষে হয়েছে সমালোচনা। অবশ্য নিজেকে প্রমাণের সুযোগ হিসেবে জায়গা পেয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তান সিরিজে।
আর সেটিকেই দুর্দান্তভাবে কাজে লাগিয়ে নির্বাচকদের কাজটা করে দেন বেশ কঠিন। নিজের অসাধারণ পারফর্ম দিয়ে শেষ মুহূর্তে ঠিকই ঢুকে পড়েন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াডে। তার দলে অন্তর্ভূক্তিতে কপাল পুড়বে লম্বা সময় ধরে দলটির সাথে থাকা কোন পেসারের সেটা অনুমেয়ই ছিল। শেষ পর্যন্ত বাদ পড়তে হল গত চার বছর দলের নিয়মিত মুখ ডেভিড উইলিকে।
এদিকে ২০০৯ সালের পর বিশ্বকাপ দিয়ে দলে ডাক পাওয়া জো ডেনলি অবশ্য বাজে পারফরম্যান্সের মাশুলই গুনেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে রান করেছেন মাত্র ২৫, বল হাতে উইকেট নিয়েছেন মোটে একটি। তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত লিয়াম ডসন সুযোগ পেয়েছেন সাম্প্রতি ঘরোয়া লিগের পারফর্ম বিবেচনায়।
বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়াকে দুর্ভাগ্যজনক মানলেও দলের প্রয়োজনে সেরা সিদ্ধান্তই বলছেন অধিনায়ক এউইন মরগান। গতকাল (২২ মে) ইস্ট লন্ডনে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে মরগান আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তিত দল নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে ইংলিশ দলপতি জানান, ‘দলটির অংশ হওয়ার পর এটা আমার সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। দুজনকে বাদ দেওয়া যাদের একজন গত চার বছর ধরে আমাদের সাথে আছে। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে সবকিছুতে সে আমাদের সাথেই ছিল। আরেকজন অসাধারণ প্রতিভাবান, তাকেও ছেড়ে দিতে হল। বাদ পড়াদের জন্য ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক, তবে দলের স্বার্থে সেরা সিদ্ধান্তই ছিল এটি।’