

শহীদ আফ্রিদি আফগানদের হৃদয়বৃত্তিতে নাড়া দিয়েছেন। অধিকাংশ আফগান ক্রিকেটারের মতো আফ্রিদি একজন ‘পাঠান’। আফ্রিদি ক্রিকেটে খেলেছেন অন্যকে বিনোদন দিতে ও নিজে বিনোদিত হতে। ব্যাটিংয়ের বাস্তবধর্মীতাকে ধার ধারেননি। তিনি ছিলেন অভিব্যক্তিপূর্ণ, এনার্জিতে চভরপুর, পাশতোতেও তিনি কথা বলতে পারেন।
আফগানরা ক্রিকেটের মাঝেই বিনোদন খুজে নেয়। আর আফ্রিদি বিনোদন ও শিহরণের প্রতিমূর্তি। আফগানদের কাছে আফ্রিদি তাই খুব প্রিয় এক নাম। মোহাম্মদ শেহজাদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোন ক্রিকেটারকে তিনি সবচেয়ে বেশি বার্তা পাঠান। উত্তরে শেহজাদ বলেছিলেন আফ্রিদির নাম।
রাশিদ খানও আফ্রিদি জ্বরে আক্রান্ত। রাশিদ শুরু থেকেই আফ্রিদি হতে চেয়েছিলেন। আফ্রিদির মতো রাশিদও শুরু করেছিলেন ব্যাটসম্যান হিসাবে। রাশিদ ওপেন করতেন এবং আফ্রিদির মতো করে ব্যাট করার চেষ্টা করতেন।
আফ্রিদি প্রসঙ্গে রাশিদ ‘দ্যা ক্রিকেট মান্থলি’ কে বলেন, ‘আফ্রিদি এমন একজন খেলোয়াড় যার বিশ্বব্যাপী ভক্ত রয়েছে। আপনি এমন ক্রিকেটার প্রতিদিন পাবেন না। আপনি তাঁর রেকর্ড ঘেটে দেখুন। তাঁর খুব বেশি সেঞ্চুরি নেই, কিন্তু যখনই সে ক্রিজে আসতো চার-পাচটা ছক্কা মেরে দর্শকদের বিনোদন দিতো। সেই কারণেই তাঁর এতো ভক্ত রয়েছে। আপনাকে তাঁর ভক্ত হতেই হতো।’
শুধু যে রাশিদ খান, মোহাম্মদ শেহজাদরা আফ্রিদিকে পছন্দ করেন তা নয়। আফ্রিদিও পছন্দ করেন আফগান ক্রিকেটারদের। আফগান ক্রিকেটারদের নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘তাঁরা যবরদস্ত ছেলে। তাঁরা বেশ ট্যালেন্টেড, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনাকে সবল চিত্তের লোক হতে হবে- আফগানরা ঠিক তাই। রাশিদ দলটির মেরুদন্ড।’
২০১৬-১৭ মৌসুমেওর বিপিএলে (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) আফ্রিদি ও রাশিদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে আফ্রিদি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট বা বোলিং নিয়ে ওরকম কথা বলতাম না। কিন্তু আমার মনে পড়ে সে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে কতোটা খুশি হয়েছিলো।’ এমন নয় যে রাশিদ পরামর্শের জন্য আফ্রিদির কাছে যান। বরং আফ্রিদি বলেন রাশিদ এমন একজন ক্রিকেটার যার অন্য কারো পরামর্শ প্রয়োজন হয় না।