

আয়ারল্যান্ডে সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ প্রথমবারের মত কোন বহুজাতি সিরিজে শিরোপা জিতে। পুরো টুর্নামেন্টেই তরুণদের পারফর্ম ছিল নজরকাড়া, বলা যায় সিরিজ জয়ে তরুণরাই দিয়েছেন নেতৃত্ব। সিনিয়ররা খুব একটা সুযোগই পাননি অবদান রাখার। আর এমন সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত টাইগার কোচ স্টিভ রোডস। তার মতে এটিই প্রমাণ করে বাংলাদেশ এখন আর সিনিয়র পাঁচজন ক্রিকেটারের উপর নির্ভরশীল নয়।
পুরো সিরিজ খেয়াল করলেই রোডসের কথার স্পষ্ট প্রমান মিলে। ব্যাটে বলে দুর্দান্ত ভূমিকা রেখেছেন দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সাফল্য মানেই যেন মাশরাফি, সাকিব, তামিম, রিয়াদ আর মুশফিকের দারুণ কিছু। এনিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সংশয় আর হতাশার কমতি ছিলোনা। তবে এবার সৌম্য, লিটন, রাহি, মুস্তাফিজ, মোসাদ্দেকরা প্রমাণ করেছে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত তারা।
সিরিজের ফাইনাল ম্যাচের কথাই ধরা যাক, সাকিবকে ছাড়াই অসম্ভব কঠিন ম্যাচটিই তরুণ তুর্কিদের নিয়ে জিতে নেয় বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের গড়ে দেওয়া ভিতের উপর দাঁড়িয়ে শেষদিকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের চমক মোসাদ্দেকের অসাধারণ এক ইনিংসে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে প্রথম কোন বহুজাতিক শিরোপার স্বাদ পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অথচ সাকিব চোটে না পড়লে তার একাদশে সুযোগই মিলতো না। দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বলছেন স্কোয়াডের গভীরতা বোঝাতেও এটি যথেষ্ট।

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রোডস জানান, ‘লক্ষ্যটা বেশ কঠিন ছিল। দুই-তিনজন দারুণ ইনিংস খেলেছে, উদাহরণ হিসাবে মোসাদ্দেকের কথাই বলি। সে সবাইকে মুগ্ধ করে দিয়েছে অথচ তার খেলারই কথা ছিলোনা। এটা আমাদের স্কোয়াডের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়, আমরা কিছু বড় ম্যাচও জিততে পারি।’
সিনিয়রদের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে তরুণদের এমন পারফর্ম মানুষের ধারণা বদলে দিবে বলেও মত প্রকাশ করেন এই ইংলিশম্যান। মানুষ এখন আর বাংলাদেশকে ৫ জন নির্ভর দল বলবেনা বলেই মনে করেন তিনি, ‘এটার মানে দাঁড়ায় আমরা শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়েই আছি, যেটা আমরা চাই। আমরা এর থেকেও বেশি গভীরতা অর্জন করতে চাই। আশাকরি লোকে সিনিয়র ৫ জন নিয়ে কথা বলা বন্ধ করবে।’