

কার্ডিফে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে হারের পর প্রথম ওয়ানডে গিয়েছিলো বৃষ্টির পেটে। এরপর টানা তিন ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে ৩৪০ ছাড়ালেও স্বাগতিকদের কাছে হারতে হয়েছিল সরফরাজ আহমেদের দলের। আজ শেষ ওয়ানডেতে এসেও বড় ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির অংশ এই সিরিজ শেষে পাকিস্তানের হাত শূন্য।
লিডসের হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ দলপতি এউইন মরগান। জেমস ভিন্স (৩৩) ও জনি বেয়ারস্টো (৩২) উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬৩ রান। ৮ম ওভারে ৩৩ রান করে ফেরেন ভিন্স। চার ওভার বাদে ইমাদ ওয়াসিমকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে আউট হন বেয়ারস্টোও।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১১৭ রান যোগ করেন জো রুট ও এউইন মরগান। ৬৪ বলে ৪ চার ও ৫ ছয়ে ৭৬ রান করে আউট হন মরগান। সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে আসিফ আলিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জো রুট।
মরগান ও রুটের বিদায়ের পর ৩৯ তম ওভারে এক বল বিরতি দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জস বাটলার (৩৪) ও মইন আলি (০)। এরপরেও ইংল্যান্ডের রানের চাকা আটকাতে পারেনি পাকিস্তান। স্টোকসের ২১, ওকসের ১৩, উইলির ১৪ ও টম কারেনের অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রান করে ইংল্যান্ড।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩ উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম। ১ টি করে উইকেট নেন হাসান আলি ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
৩৫২ রানের পাহাড়ের পথে চলতে যেয়ে প্রথম ওভারেই হোচট খায় পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় বলে কোন রান না করে ক্রিস ওকসের বলে আউট হন ফখর জামান। নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে অপর ওপেনার আবিদ আলিকেও ফেরান ওকস। ঐ ওভারেই কোন রান না করা মোহাম্মদ হাফিজকে আউট করেন ওকস।
৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসা পাকিস্তান দলকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন বাবর আজম ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ১৪৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন এই দুজন। ৮৩ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৮০ রান করে রান আউট হন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাবর আজম। দারুণ দক্ষতায় বাবরকে রান আউট করেন আদিল রশিদ।
আদিল রশিদের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন শোয়েব মালিক (৪)। অন্যদের আসা যাওয়া দেখা অধিনায়ক সরফরাজ এদিন ছিলেন ব্যতিক্রম। ৮০ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৯৭ রান করা সরফরাজ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউট হলে।
ইমাদ ওয়াসিম ও আসিফ আলি ৭ম উইকেট জুটিতে ৩৯ রান যোগ করে আশা জাগিয়েছিলেন বটে। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে সে আশাও শেষ করে দেন ক্রিস ওকস। ফেরান ২১ বলে ২৫ রান করা ইমাদকে। হাসান আলিকে (১১) আউট করে পূর্ণ করেন ৫ উইকেটের কোটা।
পাকিস্তান থামে ২৯৭ তে। শেষ উইকেটে মোহাম্মদ হাসনাইন (২৮) ও শাহিন শাহ আফ্রিদি (১৯*) যোগ করেন ৪৭ রান। হাসনাইনকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের সমাপনী লাইন এঁকে দেন আদিল রশিদ। পাকিস্তান হারে ৫৪ রানে। ইংল্যান্ড সিরিজ জেতে ৪-০ ব্যবধানে।