

বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে টাইগার সমর্থকদের কাছে ভিলেন বনে যাওয়া চরিত্র পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্রমশ উন্নতির সাথে সাথে রমিজের ভোলও পাল্টাতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সময়ে সাকিব-মাশরাফিদের প্রশংসায় ভাসানোর পর এবার একটা জায়গায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশকেই রাখলেন এগিয়ে।
আসন্ন বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি ম্যাচে রমিজের চোখে বাংলাদেশই সেরা। যুক্তি হিসেবে রমিজ দাঁড় করিয়েছেন পরিসংখ্যানকে। এর আগে বিশ্বমঞ্চে কেবল একবারই দেখা হয়েছিলো দুই দলের। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দু’দলের প্রথম ও এখনো পর্যন্ত একমাত্র লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে অঘটনই ঘটিয়ে বসে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দল হিসেবেও এবারের চাইতে বেশ শক্তিশালী ছিলো পাকিস্তান।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের এই খ্যাতিমান ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘বিশ্বকাপের মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে। দুই দল এর আগে বিশ্বকাপে একবারই মুখোমুখি হয়েছিলো, ১৯৯৯ সালে। ম্যাচটি বিখ্যাত, কারণ পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী হওয়ার পরেও বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেছে।’
শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে আসলে বাস্তবতা বোঝানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে রমিজ তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে করেছে ধবলধোলাই, সবশেষ এশিয়া কাপেও দু’দলের দেখায় জিতেছে টাইগাররাই।
সাম্প্রতি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখতে গিয়ে রমিজ বলেন, ‘সবশেষ এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে তারা হারিয়েছে। ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলে। তাই তাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পাকিস্তানকে বেশ সতর্ক থাকতে হবে।’
আগামী ৫ জুলাই আসন্ন বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হতে যাচ্ছে, কাকতালীয়ভাবে ২০ বছর পর ইংল্যান্ডেই বিশ্বকাপ আসর বসছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও বিশ্বকাপে ২০ বছর পরই একে অপরের মোকাবেলা করতে যাচ্ছে। র্যাংকিং বিবেচনায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের একধাপ পরে থাকলেও সাফল্য বিবেচনায় আসন্ন ম্যাচে বাংলাদেশই এগিয়ে বলে উল্লেখ করেন রমিজ।
পাকিস্তানি সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘কাগজে কলমে হয়তো কেয়াও বাংলাদেশকে শক্তিশালী বলবে না, তবে নিজেদের দিনে যেকোনো কিছু করার সামর্থ্য তাদের আছে। আমরা যদি বিশ্বকাপের আগের সাক্ষাতের কথা ও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের পারফরম্যান্স মাথায় রাখি তাহলে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকবে।’