

সম্প্রতি যেন চোটের সাথে বেশ সখ্যতা হয়েছে বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। গত বিপিএলে পড়া ইনজুরির কারণে যেতে পারেননি নিউজিল্যান্ড সফরে। এরপর কিছুদিন আগেই ফিরেছেন আইপিএল দিয়ে, এবার বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হতে আয়ারল্যান্ডে নেমেছেন ত্রিদেশীয় সিরিজে। সেখানে আইরিশদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাওয়া সাকিবের চোটে শঙ্কা জেগেছে ফাইনালে খেলা নিয়ে। খেলার সিদ্ধান্ত দল ছেড়ে দিয়েছে সাকিবের ওপরে।
সিরিজে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলো স্বাগতিকদের দেওয়া ২৯৩ রানের লক্ষ্যে। সবকিছুই চলছিলো ঠিকঠাক, বড় রান তাড়া করতে শুরুতে সাবধানী বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম আর লিটন উদ্বোধনীতে ১১৭ রানের জুটিতে গড়ে দেন জয়ের ভিত্তি। তামিম-লিটনের আউটের পর মুশফিকও ফিরে গেলে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ভালোই সামাল দিচ্ছিলেন সাকিব।
তবে বাংলাদেশ শিবিরে হাঠাৎই নেমে এলো দুঃসংবাদ। ইনিংসের ৩৬ তম ওভারে পিঠের ব্যথার কারণে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় অলরাউন্ডার সাকিবকে। ৫১ বলে অপরাজিত ৫০ রানে মাঠ ছাড়ার পর অবশ্য আর ফিরতে হয়নি তাকে। কিন্তু উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে টাইগার সমর্থকদের মনে। বিশ্বকাপের আগে গুরুতর কোনো চোটে পড়লেন কি সাকিব!
দলের সাথে ম্যানেজার হিসাবে থাকা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু গতকাল জানিয়েছিলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের পাওয়া আঘাতটা তেমন গুরুতর কিছু নয়। আমরা তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি, তাই আমরা তাকে মাঠ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে খুব দ্রুতই সাকিব সুস্থ হয়ে ফিরবে।’
আজ মাশরাফি বিন মর্তুজা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সাকিবকে নিয়ে পরিস্থিতি একটু ক্রিটিক্যাল। এখনই বলা যাচ্ছে না। ওর ওপরই নির্ভর করছে। এটা আসলে পৃথিবীর কোনো ডাক্তার-ফিজিওর পক্ষে সম্ভব নয় যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো ব্যথা নামিয়ে ফেলবে। ওই ক্রিকেটার কেমন অনুভব করছে, সেটির ওপরই নির্ভর করছে। সাকিব আসলে কালকে মাঠে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেবে যে পারবে কি পারবে না।’