

ডিপিএল(ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) এর সুপার লিগে একই দিনে জয় পেয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল আবাহনী ও মোহামেডান। বিকেএসপির ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। এবং চার নম্বর গ্রাউন্ডে মোহামেডান ৫ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে আবাহনী। অন্যদিকে শিরোপার লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে মোহামেডান।
সাভারে বিকেএসপির ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে আবাহনীর দলপতি মোহাম্মদ মিথুন টসে জিতে প্রাইম দোলেশ্বরকে ব্যাটিং করতে পাঠান। ব্যাটিংয়ে নেমে ফরহাদ রেজার নেতৃত্বাধীন প্রাইম দোলেশ্বর সুবিধা করে উঠতে পারেনি। মার্শাল আয়ুব সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। এছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান বড় রানের দেখা না পেলে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করতে সমর্থ্য হয় দোলেশ্বর। আবু জায়েদ রাহি আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও ভারতীয় মানান শর্মা নেন দুইটি করে উইকেট। ১৯০ রানের লক্ষ্যে পৌছাতে আবাহনীকে খেলতে হয় ৩৬ ওভার ৩ বল। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌছে যায় গেলোবারের চ্যাম্পিয়নরা। লিটন দাস ব্যর্থ হলেও রানের দেখা পান সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। সাদমান আউট হন ৬৫ রান করে ও সাইফ হাসান ৮০ রান করে। ৮০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরষ্কার পান সাইফ হাসান।
অন্যদিকে সাভারে বিকেএসপির ৪ নম্বর গ্রাউন্ডে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন শেখ জামালের অধিনায়ক রাজিন সালেহ। শেখ জামালের অন্য সব ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে হেসেছে জিয়াউর রহমানের ব্যাট। ৭৭ বলে শতক পূর্ণ করে জিয়াউর রহমান আউট হন ১০৩ রান করে। অন্যদের ব্যর্থতার দিনে শেখ জামাল ৪৫ ওভারেই অলআউট হয় ২০০ রান থেকে ৩ রান দূরে থাকতে। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান তাইজুল ইসলাম। এছাড়া দুইটি করে উইকেট নেন শুভাশিস রায় ও সাজেদুল ইসলাম। শেখ জামালের ১৯৭ রান টপকে যেতে মোহামেডান সময় নেয় ৩০ ওভার ২ বল। ৫ উইকেট হারানো মোহামেডানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৯ রান আসে শামসুর রহমানের ব্যাটে। পরাজিত দলে থেকেও ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন জিয়াউর রহমান।