

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসর ২০১৮ সালের শেষদিকে না হয়ে এবছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়। ফলে আগে থেকেই ধারনা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে দুটো বিপিএল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বোর্ডের সুত্রমতে ধারনা পেতে যাচ্ছে বাস্তবরুপ, ডিসেম্বরেই বসছে বিপিএলের সপ্তম আসর, প্রয়োজনে এফটিপিতে আসবে পরিবর্তন।

ডিসেম্বরে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরের কথা ছিল। আবার বিপিএল নিয়েও বিসিবির আলাদা একটা প্ল্যান ছিল বছরের শেষদিকে আয়োজনের। ফলে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থায় পড়তে হত বোর্ডকে। সেক্ষেত্রে মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মত অবস্থা তৈরি করে দিয়েছে লঙ্কান বোর্ড।
অবশ্য নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্টতা আছে বলেই সেটা করতে চাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। সম্প্রতি ইস্টার সানডেতে দেশটির বিভিন্ন গির্জা ও হোটেলে চালানো সিরিজ বো-মা হা-ম-লায় নি-হ-ত হয় প্রায় চার শতাধিক। ঘটনার পর দেশটিতে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো সফর করতে অনাগ্রহ দেখানোরই কথা। আর সেজন্য শ্রীলঙ্কা বোর্ড নিজেদের নিরাপদ প্রমাণে ডিসেম্বরের বাংলাদেশ সিরিজটিই বিশ্বকাপের পরপর খেলে ফেলতে বিসিবিকে প্রস্তাব দেয়।
বিসিবি স্পষ্ট করে কিছু না বললেও বিপিএল ভাবনায় জুলাইয়ের মাঝামাঝি কিংবা শেষদিকে সফর করে ফেলার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রাইস্টচার্চ হা-ম-লার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে সোচ্চার হওয়া বিসিবি নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েই সফর নিয়ে এগোবে।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন,” সন্দেহ নেই নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। আমাদের একটি নিরাপত্তা টিম আগে যাবে এরপর আমরা সন্তুষ্ট হলেই। কোন ঝুঁ-কি থাকলে সেটা আমরা নিবোনা। কারণ আমাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবার আগে প্রাধান্য পাবে।”
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বিপিএলের সপ্তম আসর আয়োজনের উদ্দেশ্যেই শ্রীলঙ্কা সফরটি পরিবর্তনে সায় দিতে যাচ্ছে বিসিবি জালাল ইউনুসের কন্ঠে ঝরলো সেই সুর ,” এফটিপিতে একটু পরিবর্তন আসতে পারে। তারিখ হয়তো আগে পিছে হতে পারে। তবে আমাদের প্ল্যান ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বিপিএল আয়োজন করা। ডিসেম্বরে বিপিএলের জন্যই শ্রীলঙ্কা সফরের সূচীতে পরিবর্তন হবে।”