

নিজেদের দেশে ইংলিশরা হারতে নারাজ। তিন ম্যাচ সিরিজে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারালো প্রোটিয়াদের। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭২ রানের জয়ের পর আজ ২ রানে জিতলো ইংল্যান্ড।
সাউদাম্পটনে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়া অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। ইংলিশদের এমন স্পোর্টিং উইকেটে টস যে খুব একটা মাথা ব্যাথার কারণ নয় সেটা পরে দু’দলই বুঝিয়ে দিয়েছে।
ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় আর অ্যালেক্স হেলস শুরুটা করেছিলেন খুব ধীরেই। তবে ধীরে শুরু করেও উইকেটে থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। রয় করেন ৮ রান আর হেলস করেন ২৪ রান। মাঝে জো রুট আর মরগ্যান মিলে জুটি করলেও সেটি টিকতে দেয়নি প্রোটিয়া বোলাররা।
মরগ্যান করেন ৮৫ বল খেলে ৪৫ রান। এর পরই শুরু হয় ইংলিশদের ব্যাটিং তান্ডব। দুই অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস আর জশ বাটলার মিলে যা করলেন তাতেই ঘুরে দাড়িয়ে যায় ইংলিশরা। স্টোকস করেন ১২৪ বলে ১০১ রান আর বাটলারের ব্যাটে আসে ৮১ বলে ৬৫ রান।
৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩০ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে রাবাদা নেন ৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট।
৩৩১ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে একটুও বিচলিত হননি প্রোটিয়া দুই ওপেনার। শুরু থেকেই খেলেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। হাশিম আমলা এদিন ২৪ রান করলেও ৪০ বল মোকাবেলা করে সমর্থন দিচ্ছিলেন আরেক ওপেনার ডি কক কে। এরপর তিন নাম্বারে খেলতে নামা ডু প্লেসিস ১৬ রান করে আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওপেনিংয়ে খেলতে নামা ডি কক।
তবে শতক হাকানোর ঠিক ২ রান আগেই মইন আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান। এদিন ডি ভিলিয়ার্স অর্ধশতক হাঁকালেও ডেভিড মিলার আর কিলার হয়ে উঠতে পারেননি। ৮০ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেললেও শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেননি দলকে। লোয়ার ওর্ডারে খেলতে নামা ক্রিস মরিস ব্যাট হাতে কিছুটা আশা জাগালেও ৫০ ওভার খেলে প্রোটিয়াদের থামতে হয় ৩২৮ রানে গিয়ে।
এ ম্যাচসহ টানা দুই ওয়ানডে জিতে নিয়ে ঘরের মাঠের সিরিজটা ২-০ তে জিতে নিলো ইংলিশরা। সোমবার লর্ডসে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দু’দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ইংল্যান্ড- ৩৩০/৬ (৫০ ওভার) বেন স্টোকস ১০১(১২৪), যশ বাটলার ৬৫(৮১)। কাগিসো রাবাদা ২/৫০
দঃক্ষিন আফ্রিকা- ৩২৮/৫ (৫০ ওভার) কুইন্টন ডি কক ৯৮(১৪৪), ডেভিড মিলার ৭১(৮০)। লিয়াম প্লাংকেট ৩/৬৪
ফলাফল” ইংল্যান্ড দুই রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরাঃ বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।