

বড় সংগ্রহের পরেও প্রস্তুতির প্রথম লড়াইয়ে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে দুই উইকেটে পরাজিত হলো বাংলাদেশ। টাইগারদের ছুঁড়ে দেয়া ৩৪১ রানের জবাবে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান।
পাকিস্তানের অষ্টম উইকেটের পতন ঘটার সময়েও বাংলাদেশ থেকে দলটি পিছিয়ে ছিল ৯৩ রানে। নবম উইকেট জুটিতে দুই বোলার ফাহিম আশরাফ এবং হাসান আলীতেই কপাল পোড়ে বাংলাদেশের। এ দুজনের অবিচ্ছিন ৯৩ রানের জুটিতে পাকিস্তান ম্যাচ জিতে নেয় দুই উইকেটে।
যদিও খেলার শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের হাতেই রেখেছিল বাংলাদেশ। মাত্র ১৪ রানেই তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে ফিরে যান পাকিস্তানী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আজহার আলী। পাঁচ রান পরেই দারুণ ফর্মে থাকা বাবর আজমও মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে। আহমেদ শেহজাদ হয়ে ধীরে ধীরে হয়ে উঠছিলেন ভয়ংকর। তবে সাকিব আল হাসানের বলে সোজা বোল্ড হয়ে শেহজাদ ফেরেন ৪৪ রানে।
৪র্থ উইকেট জুটিতে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক এবং মোহাম্মদ হাফিজ যোগ করেন ৭৯ রান। মালিকের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৭২ রান আর হাফিজ সংগ্রহ করেন ৪৯ রান। ইমাদ ওয়াসিম ৪৫ রান করে ফিরে গেলে বাংলাদেশের জয়টা হয়ে যায় সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু নাটকের অনেকটা বাকী তখনো! এখনও জাতীয় দলের হয়ে মাঠেই নামেননি, সেই ফাহিম আশরাফ মাত্র ৩০ বলে ৪ ছয় আর ৪ চারে ৬৩ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জয়ী করে তবেই মাঠ ছাড়েন। অন্যপাশে হাসান আলীও ১৫ বলে ২৭ রানের ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী ইনিংস খেলে ফাহিমকে যোগ্য সমর্থন যোগান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
বাংলাদেশঃ ৩৪১/৯ (৫০ ওভার) তামিম ইকবাল ১০২, ইমরুল কায়েস ৬১, মুশফিকুর রহিম ৪৬, মাহমুদুল্লাহ ২৯, মোসাদ্দেক ২৬, সাকিব আল হাসান ২৩। জুনায়েদ খান ৪/৭৩
পাকিস্তানঃ ৩৪২/৮ (৪৯.৩ ওভার) শোয়েব মালিক ৭২, ফাহিম আশরাফ ৬৩*, মোহাম্মদ হাফিজ ৪৯, ইমাদ ওয়াসিম ৪৫, আহমেদ শেহজাদ ৪৪। মেহেদী হাসান মিরাজ ২/৩০
ফলাফলঃ পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী।