


মাত্র ১৬ বছর বয়সে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিলো মুশফিকুর রহিমের। ঐতিহ্যবাহী লর্ডসের অভিষেকের পর আজ ২০১৭ সালের ২৬শে মে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ বছর পূর্ণ হলো বাংলাদেশ টেস্ট দলের বর্তমান অধিনায়কের।
হঠাৎ ডাক পড়লো দলে
২০০৫ সালের ঐ সময়ে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে ছিলেন ১৬ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিম। কোচ এসে জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড থেকে জাতীয় দলের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ডাক এসেছে। স্বপ্নেও ভাবেননি ইংল্যান্ডেই এতো অল্প বয়সে অভিষেক হয়ে যাবে। তবে সেটাই হয়েছিলো। লর্ডসে ১৬ বছর বয়সী মুশফিক সাদা পোশাকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
ভুলে যাবার মতো অভিষেক
প্রথম ইনিংসে ম্যাথু হগার্ডের বলে বোল্ড হয়েছিলেন ১৯ রান করার পর। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ৩ রান করা মুশফিককে দেখিয়েছিলেন সাজঘরের পথ। মুশফিকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের ম্যাচে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছিলো ইনিংস ও ২৬১ রানে।

প্রথম শতক পেতে পাঁচ বছরের অপেক্ষা
২০০৫ সালে সাদা পোশাকে অভিষেক হবার পর ২০০৬ সালেই ওয়ানডে(৬ আগস্ট, ২০০৬) ও টি-টোয়েন্টি(২৮শে নভেম্বর, ২০০৬) অভিষেক হয় মুশফিকের। তবে সব ব্যাটসম্যানের আরাধ্য শতকের দেখা মিলেছিলো ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। চট্টগ্রামে ১০১ রানের ইনিংস খেলে নিজের প্রথম শতকের দেখা পান মুশফিকুর রহিম। এরপর টেস্টে আরো চারবার এবং ওয়ানডেতে চারবার শতক ছুঁয়ে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেছেন মুশফিক।

মুশফিক পেলেন অধিনায়কের বাহুবন্ধনী
২০১১ সালে সব ধরণের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবার ভার পান মুশফিক। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক পরিবর্তিত হলেও মুশফিকুর রহিম সাদা পোশাকে এখনও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। টেস্টে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ৩০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক।

গলে গড়লেন ইতিহাস
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গলে প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০ রান করেন মুশফিক। ৪৩৭ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩২১ বলে ২২টি চার ও ১টি ছয়ে ঠিক ২০০ রান করে আউট হন মুশফিক।
নড়বড়ে থেকে নির্ভরযোগ্য
১৯, ৩, ২, ০, ৯, ৮০, ১১*, ১, ৭, ৬ প্রথম ১০ টেস্ট ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রান। প্রথম ১০ ওয়ানডে ইনিংসে(ব্যাট করেছেন এমন) মুশফিকের রান ১৮*, ৬, ১, ২৭, ৪২, ৫৭, ৫৬*, ৬, ২* ও ০। শুরুর দিকে বেশ নড়বড়ে থাকা ব্যাটসম্যান মুশফিক আজ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপের সবচেয়ে বড় নির্ভরতার নাম। ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ তকমাটা গায়ে লেগেছে অনেকদিন হলো।

ডিসমিসালে সবার উপরে
টেস্ট(১০০), ওয়ানডে(১৭৮), টি-টোয়েন্টি(৪৬) সব ধরণের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ক্যাচ, স্টাম্পিং সবকিছুতেই ছাড়িয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলটদের।