

ঠিক এই সময়টাতে এখন মাঠের লড়াইয়ে থাকার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু ভাগ্য যেন তাদের এক জীবন যু-দ্ধে ফেলে দিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতেই দেশের বিমান ধরেছেন ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দল দেশে ফিরছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে। মনে ভয়, চোখ জুড়ে আ-ত-ঙ্ক, বাড়ি ফেরার তাড়নায় যেন ব্যাকুল প্রাণ প্রতিটি ক্রিকেটার। এখানো যে কাটিয়ে উঠতে পারেননি চোখে দেখা বি-ভী-ষি-কাময় সেই ভ-য়া-ব-হ মুহূর্ত। ক্রাইস্টচার্চ বিমানবন্দরে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন- তামিম, রাহি, খালেদ, এবাদত।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ হা-ম-লায় প্রাণে বেঁচে গেছেন বাংলাদেশের জাতীয়দলের ক্রিকেটাররা। যে এক ভ-য়া-ব-হ মুহূর্তের মধ্য দিয়ে তারা সময় পার করেছেন সেখান থেকে মানসিকভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন কত দ্রুত ক্রিকেটাররা, সেটাই এখন অপেক্ষার বিষয়।
ক্রাইস্টচার্চের বিমানবন্দরে এসে সব কাজ সম্পন্ন, এখন শুধু বিমানে বসার অপেক্ষায় ক্রিকেটাররা। তরুণ পেসার খালেদ আহমেদ জানালেন নিজের বর্তমান অনুভূতি, ‘ভয় লাগতেছিল, এখন ভালো লাগতেছে।’
‘যতক্ষণ না বাংলাদেশে পৌঁছায়, ততক্ষণ মনে হয় না ভয় কাটবে‘। বললেন, আবু জায়েদ রাহি।
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় বেলা ১২টার ফ্লাইট ধরতে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই বিমান বন্দরে পৌঁছে যায় ১৫ ক্রিকেটার সহ ১৯ সদস্যের দল। সিরিজের শেষ টেস্ট বাতিল করে ২৪ঘন্টার মধ্যেই দেশ ছাড়তে পেরে তামিম হয়ত হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। কিন্তু বাজে সেই মুহূর্ত থেকে তামিম যেন বের হতে পারছেন না এখানো।
‘যা ভ-য়া-ব-হ এক্সপেরিয়েন্সের মুখোমুখি হয়েছি আমরা, এ জিনিস থেকে বের হতে আমাদের বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। হ্যা, এইটা ভালো যে পরিবারের কাছে যাচ্ছি। আশা করব যে আমরা দেশে ফিরে সবাই একসাথে এইটা থেকে কাটিয়ে উঠব।’

কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া গত একমাস নিউজিল্যান্ডে ঘুরে-বেড়ানো বাংলাদেশ দলের জন্য ছিল এবার বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হোটেল থেকে নিরাপত্তার বলয়ে ঢেকে বিমানবন্দরের ভিতরেও তাদের বিশেষ নজরে রেখেছে নিউজিল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর তাতেই হয়ত কিছুটা ভয় কেটেছে দলের সদস্যদের।
এমন বাজে অভিজ্ঞতা নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ড আর তার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ড সফর করবে বাংলাদেশ দল।